সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল খরায় শুকিয়ে এসেছিল নদীর একাংশ। ইতিউতি দেখা মিলেছিল কোনও প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষ। তাতেই উৎসাহিত হয়ে খননকাজ চালাতে শুরু করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। না, শেষপর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি তাঁদের। ইরাকে (Iraq) টাইগ্রিস (Tigris) নদীর একাংশের জল শুকিয়ে গিয়ে সত্যিই দেখা মিলেছে প্রাচীন এক নগরীর।
ইতিহাসবিদদের অনুমান, প্রায় ৩,৪০০ বছর পুরনো ওই শহর। আরও স্পষ্ট করে বললে, এটি মিত্তানি সাম্রাজ্যের অংশবিশেষ ছিল, সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১৩৫০। ইরাকের কিমিউনের কুর্দিস্তান এলাকায় শহরটির ভগ্নাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, শহরটির অস্তিত্ব ছিল ব্রোঞ্জ যুগে। বস্তুত, জার্মান এবং কুর্দিশ প্রত্নতাত্ত্বিকদের দু’টি দল যৌথভাবে খননকাজ চালিয়ে প্রাচীন এই শহরটিকে ফের পাদপ্রদীপের আলোয় তুলে এনেছে।
[আরও পড়ুন: তিনটি ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপ, ধোনিকে নিয়ে অজানা তথ্য ফাঁস করলেন তারকা ক্রিকেটার]
বেশ কয়েক দশক ধরেই খরায় ভুগছে ইরাক। বৃষ্টির দেখা নেই। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটাস নদীর জলও শুকিয়ে গিয়েছে বহু অংশেই। এর ফলে জীবনধারণের জন্য কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেখানকার মানুষদের। এই পরিস্থিতিতে শস্য যাতে শুকিয়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মসুল বাঁধের জলাধার খুঁড়তে শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে এই খননকার্য শুরু হয়েছিল। আর তার ফলেই প্রাচীন এই শহরের হদিশ মিলল।
এমন নয় যে, এই শহরটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না স্থানীয়রা। গত শতকের আটের দশকে যখন বাঁধটি তৈরি হচ্ছিল তখন থেকেই বিষয়টি সকলের অবগত ছিল। কিন্তু সেই প্রাচীন শহরের স্থাপত্য ও ঘরবাড়ির কোনও চিহ্ন আজ পর্যন্ত মেলেনি। কিন্তু এবার প্রত্নতত্তবিদরা শহরটিকে খুঁজে পেলেন। ১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ ভূমিকম্পের কবলে পড়ে সমাধিস্থ হয়ে গিয়েছিল গোটা শহরটাই।