সুমন করাতি, হুগলি: কোথাও রাখার দুর্গার মাটির মূর্তি। তার থেকে কিছুটা দূরে রাখা উমার সন্তান-সন্ততিদের মূর্তি। তুঙ্গে ব্যস্ততা। পুজোর মুখে বরাত অনুযায়ী প্রতিমার জোগান দিতে গিয়ে রীতিমত নাভিশ্বাস ভদ্রেশ্বরের মৃৎশিল্পীর। বয়স সংখ্যা ছাড়া যে আর কিছুই নয়, তা-ই যেন প্রমাণ করলেন পঁচাত্তরের ‘যুবক’।
হুগলির ভদ্রেশ্বরের কৃষ্ণপট্টির বাসিন্দা সুনীল নাথ। ছোট্ট থেকে মাটি নিয়ে নাড়াচাড়া তাঁর। একসময় মৃৎশিল্পকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন। সংসার করার ফাঁকে স্ত্রী-ও সাহায্য করতেন সুনীলবাবুকে। একসময় পুজোয় ৩০-৩৫টি মূর্তি তৈরির বরাত পেতেন। আয়ও হত বিপুল। দিব্যি চলত জীবনযাপন। বর্তমানে ব্যবসা বহরে কমেছে অনেকটাই। এবার পুজোয়(Durga Puja 2023) মাত্র ১৭টি দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত পেয়েছেন। প্রতিমা তৈরির কাজই চলছে জোরকদমে।
[আরও পড়ুন: সি সেকশনের সময় অঙ্গ বাদ! চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ]
অনেকেই ভাবেন পঁচাত্তর বছর বয়সি শিল্পীর দ্বারা বরাত অনুযায়ী সময়মতো প্রতিমা জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে সে ভাবনাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন শিল্পী। বয়স সংখ্যা ছাড়া যে আর কিছুই নয়, তা প্রমাণ করে দিব্যি প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন সত্তরোর্ধ্ব দম্পতি। নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা তৈরি হয়ে যাবে, সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মৃৎশিল্পী। তবে কপালের ভাঁজ চওড়া করেছে বৃষ্টি। কীভাবে প্রতিমা শুকোবেন, সেই দুশ্চিন্তাই যেন রাতের ঘুম কেড়েছে তাঁর।
দেখুন ভিডিও: