স্টাফ রিপোর্টার: ইউনেস্কো (UNESCO) বাংলার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে এবার মাতৃবন্দনা হচ্ছে কলকাতা হাই কোর্ট চত্বরে। আইনজীবীদের সংগঠন হাই কোর্ট ক্লাবই ১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম শারদোৎসবের আয়োজন করছে। তৃণমূল (TMC) লিগ্যাল সেলের হাই কোর্ট শাখা আয়োজিত কর্মসূচিতে বুধবার এই ঘোষণা করেন ক্লাবের সভাপতি অশোক ঢনঢনিয়া। পরে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ‘‘শাস্ত্র ও উপাচার মেনে বোধন থেকে শুরু হয়ে সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী এবং বিসর্জন, সম্পূর্ণ মাঙ্গলিক সূচি পালিত হবে। সদস্য আইনজীবীরাই সমস্ত আয়োজন করবেন।’’
মহিলা আইনজীবীরা প্রথমবারের পুজো নিয়ে একটু বেশিই উৎসাহিত ও উজ্জীবিত বলে স্বীকার করেছেন হাই কোর্টের (Calcutta HC)তৃণমূল লিগ্যাল সেলের আহ্বায়ক তরুণ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, টাউন হল বা সংলগ্ন জোনে চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি বসবে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুর্গাপুজোর বর্ণময় মিছিলেও পা মিলিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। ‘জাগো বাংলা’ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের উৎসাহে হাই কোর্ট চত্বরে পত্রিকার বোর্ড লাগানো হল। উদ্বোধনে পত্রিকা সম্পাদক ছাড়াও ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, দলের মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক অশোক দেব, মিজোরামের প্রাক্তন এজি বিশ্বজিৎ দেব প্রমুখ।
[আরও পড়ুন: ‘নোংরা হিন্দু গোমাংস খাও না’, আমেরিকায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভুতকে হেনস্তা আরেকজনের]
এদিন আইনমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি ও দেশ বিক্রি করে দেওয়ার খবর দেখাচ্ছে না। কারণ, অধিকাংশ টিভি চ্যানেল বিজেপি বা তার বন্ধুরা কিনে নিয়েছে। বস্তুত এই কারণে জাগো বাংলা’র মতো পত্রিকায় নিয়মিত চোখ রাখা জরুরি।’’ নানা মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) ব্যর্থতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় ২৫ বছরে একজনকেও সিবিআই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ২০১১ সালের নেতাই গণহত্যা মামলায় সিআইডি অভিযুক্তদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও সিবিআই একচুলও এগোতে পারেনি। রবিঠাকুরের নোবেল চুরির কিনারা করতে পারেনি।’’ মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন, ‘‘বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিতে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে দৈনিক প্রচুর রসদ থাকছে ‘জাগো বাংলা’য়। বস্তুত এই কারণে দৈনিক ১১ লক্ষ পাঠক-পাঠিকা ‘জাগো বাংলা’ পড়ছেন।’’
[আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ’, মঙ্গলকোট মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে দাবি অনুব্রতর]
সভায় বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব বলেন, ‘‘ইডি-সিবিআইয়ের তথাকথিত ‘সূত্র’কে আমরা আইনজীবীরা মান্যতা দিই না। কোর্টের আইনজীবীরা আইন মেনে চলে বলেই কাউকে ভয় পায় না।’’ সভায় সংবর্ধিত হন দীপঙ্কর কুণ্ডু, অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈবাল বাপুলি, হিরণ মজুমদার, ভাস্কর বৈশ্য।