সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফের দূষণে দিল্লিকে টেক্কা দুর্গাপুরের। দূষণের সূচক ৪০০ পার। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ কম হলেও বুধবার দুপুরে একিউআই ৪১৭। এদিন দুপুরে একই সময়ে দিল্লির একিউআই ছিল ২৩৩। গত দুই দিন ধরেই দূষণের সূচকে ভারতের অন্য রাজ্যকে টেক্কা দিচ্ছিল দুর্গাপুর। বুধবার সেই সূচক ছাড়িয়ে ৪০০ পার। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর মহিষ্কাপুর এভিনিউয়ে একিউআইয়ের পরিমাণ ৩৫৮। বিধাননগরে ৪১৭ ও সিটি সেন্টারে ২৯৬। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা পিএম ২.৫ প্রতি ঘন মিটারে ৬৬ ও পিএম ১০-এর পরিমাণ ১৪৬। বাতাসের গতিবেগের পরিমাণ ১৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় থাকায় পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ তুলনায় কম দুর্গাপুরে। এদিন আসানসোলও পিছিয়ে নেই দূষণের নিরিখে।
আসানসোলের একিউআই ছিল ৩৬৬। পিএম ২.৫ ও পিএম ১০-এর পরিমাণ আসানসোলে দুর্গাপুরের থেকে অনেক বেশি ছিল। পিএম ১০-এর পরিমাণ ছিল ২০৮ ও পিএম ২.৫ এর পরিমাণ ছিল ১৯২। এদিন চন্ডীগড়ে ১৪২, হরিয়ানায় ১২৬, কলকাতা ২০৬, হাওড়ায় ৩০৪। দিন পনেরো আগে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওএসডি এসে দুর্গাপুরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কার্যালয়ে আসানসোল, দুর্গাপুরের বেসরকারি শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্যে। কিন্তু তাতেও যে কাজের কাজ কিছু হয়নি ক্রমাগত দূষণের সূচক বৃদ্ধি তারই প্রমাণ। আসানসোল আঞ্চলিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকায় বড় বড় গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রক্রিয়া চলছে।’’
এদিন দুর্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি বেসরকারি ইন্টিগ্রেটেড ইস্পাত কারখানার ডাইরেক্টর গৌরব জাজোদিয়া বলেন, ‘‘সেকেন্ডারি ইস্পাত কারখানার জন্যে বেশি মাত্রায় দূষণ সৃষ্টি হয়। তবে আমরা পর্ষদের নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজ করি। তবে যতটা সম্ভব সৌর বিদ্যুৎ ও সবুজ স্টিল উৎপাদনে জোর দিতে হবে।’’দূষণ বৃদ্ধি নিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা সত্যি উদ্বেগের। আমি স্থানীয় কয়েকটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজকে দিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী সমাধানের জন্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি।’’