গৌতম ব্রহ্ম: দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনল বিজেপি (BJP)। সোমবার বিধানসভায় অতীতের এই ধরনের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা পরিষদীয় মন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁকে সমর্থন জানান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু স্পিকার সেই দাবি মানেননি। বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। এরপরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে এসে স্লোগান দিতে থাকেন। বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ ঘটনা রুখতে সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা।
বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। দুবরাজপুর, এগরা-সহ একাধিক এই ঘটনার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার উদাসীন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কখনও বিধানসভায় পাওয়া যায় না। যে ঘটনা ঘটছে বাজি কারখানায় তা নিয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছি।”
[আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা প্রেমিককে দান! চাপে পড়ে অর্থ ফেরতের দাবিতে ধরনায় গৃহবধূ]
তাঁর আরও বক্তব্য, ”দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন না। আমরা ভেবেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এসে জানাবেন। এলেন না। গত ৬ মাসে ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সরকার তার জবাব দিতে প্রস্তুত নয়। আমদের মুলতুবি প্রস্তাবের বেশিরভাগই খারিজ হয়। এর আগে বিস্ফোরণের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ক্ষমা চাইছি।। মুখ্যসচিব কে সামনে রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কোথায় গেল সেই কমিটি? কী কাজ করা করল আমরা জানতে চাই। NIA কেন ডাকা হল না।”
[আরও পড়ুন: CBI ও NIA তদন্তের দাবি, দত্তপুকুর বিস্ফোরণে হাই কোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা বিরোধীদের]
তাঁদের আবেদন খারিজ করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিরোধীদের বনমহোৎসবে যোগদানের আহ্বান জানান। তাতে শুভেন্দু স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বনমহোৎসবে যোগদানের চেয়ে দত্তপুকুর যাওয়া বেশি জরুরি। এরপর বিজেপি বিধায়করা দত্তপুকুরের উদ্দেশে রওনা দেন।