সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার হাজার বছর ধরে ভূমিকম্পের (Earthquake) সাক্ষী তো ভূভাগের বিশেষ বিশেষ অংশ। তারই মধ্যে একটি গুজরাটের (Gujarat) কচ্ছ উপকূল – ভূগোল সম্পর্কে উৎসাহী যে কেউ এই তথ্য জানেন। ভারতের ভূপ্রকৃতি বোঝার ক্ষেত্রে ‘কচ্ছের রণ’ বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এবার এই অংশ সম্পর্কে নয়া তথ্য জানাল সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা। বলা হচ্ছে, ৩০ হাজার বছর ধরে ঘনঘন ভূমিকম্প কচ্ছ এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। তবে আজ কচ্ছের যে রূপ আমরা দেখছি, তা হয়ত ১০ বছর আগেই এমনটা ছিল না।
সম্প্রতি কচ্ছ উপকূলের পলিস্তর নিয়ে গবেষণার কাজ চলছিল। তাতেই বোঝা গেল, এখানকার ভূভাগ কীভাবে বড়সড় বদলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর নেপথ্যে ভূমিকম্পকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। বিশেষ করে ‘ক্যাটরোল হিল’ চ্যুতিরেখা (Fault) দায়ী। গবেষকদের মতে, এই অঞ্চলে পলিমাটির গঠন খুবই জটিল। তাই তার বিশ্লেষণও তুলনামূলকভাবে কঠিন। পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত বেশ কিছু চ্যুতিরেখার মধ্যবর্তী অংশে টেকটনিক প্লেটের (Tectonic Plate) সরণের ফলে খুব সামান্য অঞ্চল জুড়েও অনেক সময় ভূমিকম্প হয়েছে। আর সেটাই ব্যাপক বদল ঘটিয়েছে ভূভাগের। চুলচেরা অঙ্ক কষে তাঁদের বক্তব্য, ৩০হাজার বছরের মধ্যে তিনটি বড়সড় ভূমিকম্পই ২১ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকার পরিবর্তন ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীতে আধুনিক মানুষ এসেছিল আরও ৩০ হাজার বছর আগে! নয়া আবিষ্কারে শোরগোল]
প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, কচ্ছের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তাও এই কম্পন পরবর্তী সময়ের দান। এর আশেপাশে সমস্ত এলাকার ভূপ্রাকৃতিক গঠনেই বস্তুত রয়েছে কম্পনের প্রভাব। গুনাওয়ারি নদীর গতিপথ বদলেছে এই একই কারণে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কী জানেন? ২০০১ সালের ভুজের ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প কিন্তু মাটির গঠনে তেমন কোনও বদল আনেনি। বরং অন্যান্য কম্পন বেশি প্রভাব ফেলেছে। তারও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা। ভূগর্ভের খুব বেশি গভীরে নয়, এসব কম্পন তৈরি হয়েছে ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তরেই। তাই তার প্রভাব মাটির উপরে এতটা।