দুলাল দে: আইএসএলে টানা তিনটে ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পদত্যাগ। কোচের উপর লাল-হলুদ কর্তারা বিরক্ত ছিলেন, এটা ঠিকই। কিন্তু কুয়াদ্রাত দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ না করলে কর্তারা হয়তো এতটা তাড়াতাড়ি সরিয়ে দিতেন না স্প্যানিশ কোচকে। ফলে নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো হঠাৎ করে এসেই যে পুরো ইস্টবেঙ্গল(East Bengal) দলটার খোলনলচে বদলে দেবেন, এরকম নয়। আবার কোচ বদলের সিদ্ধান্তে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এরকমটাও দেখেছেন, অতীতে অনেক সময় কোচ পরিবর্তনে দলের আবহ বদলে গিয়ে খেলার ফলাফলই বদলে গিয়েছে। এরকমভাবেই শনিবার নতুন কোচের দিকে তাকিয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেখানেও একটা ছোট সমস্যা।
দেরিতে ভিসা পাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ অস্কার কলকাতা বিমানবন্দরে পা দেন শনিবার ভোর ৩টে ২০ মিনিটে। ফুল দিয়ে, লাল-হলুদ উত্তরীয় পরিয়ে বিমানবন্দরেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। তবে দলের ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রুজো সরাসরি দেখা করবেন বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গিয়ে। রাতের ডার্বিতে অস্কারকে যাতে কোচের চেয়ারে বসানো সম্ভব হয়, সেই জন্য ইতিমধ্যেই ফেডারেশন এবং এএফসির কাছে অস্কারের জন্য আবেদন করে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। এফসি আবেদন মঞ্জুর করলে কোচের চেয়ারে বসতে পারবেন স্প্যানিশ হেডস্যর। তা না হলে অবশ্য গ্যালারিতেই থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচকে। সম্ভবত বিকেলের আগেই জানা যাবে, ডার্বির সময়ে ব্রুজো কোচের চেয়ারে থাকবেন কিনা।
কিন্তু একজন ফুটবলারকেও আগে প্র্যাকটিসে না দেখে ডার্বিতে কীভাবে কোচিং করাবেন অস্কার? এরও একটা পথ বের করে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের কোচ নিযুক্ত হওয়ার পরই, অন্তর্বর্তী কোচ বিনো জর্জের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন অস্কার। আইএসএলের প্রথম চারটি ম্যাচের ক্লিপিংস দেশে বসে বার বার করে দেখেছেন তিনি। দেখেছেন, মোহনবাগান দলের খেলার ক্লিপিংসও। আর তারপরেই বিনোকে নির্দেশ দিয়েছেন, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনায় দলকে প্র্যাকটিস করাতে হবে। অস্কারের কথামতোই এই ক’দিন ক্লেটন সিলভাদের প্র্যাকটিস করিয়ে গিয়েছেন বিনো। ফলে একদিনও প্র্যাকটিস না করালেও শনিবার রাতে দলের যাবতীয় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেবেন অস্কারই। অন্যদিকে, চোটের জন্য মহেশ সিং নাওরেমকেই পাবে না ইস্টবেঙ্গল। এছাড়া অন্য ফুটবলাররা সকলেই ফিট।