সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার বিকেলে আইএফএ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছিল যে, গতবারের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। তারপর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে। সোমবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গলের মাঠে ৪০তম কলকাতা লিগের খেতাব তুলে দেওয়া হয় সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়দের হাতে। তারপর ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারিয়ে ৪১তম কলকাতা লিগ জিতল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতল বিনো জর্জের ছেলেরা।
কলকাতা লিগে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে ছিল ইউনাইটেড। সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচেও কিন্তু তাদের কাছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। ইস্টবেঙ্গলকে অবশ্য ড্র করলেই হত। যদিও বিষ্ণু-আমনদের খেলা দেখে মনে হল না তাঁরা ড্রয়ের পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছেন। এমনিতেই নিজেদের মাঠে অসংখ্য দর্শকের সামনে অ্যাডভান্টেজ ছিল লাল-হলুদ বাহিনীর। সেখানে শুরু থেকেই ইউনাইটেডের গোলমুখে আছড়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ। যেন মনে হচ্ছিল, গোল হওয়া সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু ডেভিড-সায়নরা একের পর সুযোগ হাতছাড়া করতে থাকেন। কখনও সাইড নেটে বল মারেন, কখনও-বা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন ইউনাইটেডের গোলকিপার রৌনক। অবশেষে ৩৭ মিনিটে গোলের দেখা পায় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন ডেভিড। প্রথমার্ধে বল পজিশন থেকে গোলমুখী শট, সবেতেই অনেকটা এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে বরং একটু গুটিয়ে যায় তারা। সেই সুযোগে খেলায় ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেন মহম্মদ রফিকরা। লাল-হলুদের বক্সে একাধিকবার ঢুকেও পড়ে। এর মধ্যে লাল কার্ড দেখেন ইউনাইটেডের গোলকিপার কোচ অভিজিৎ দাস। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে হেড থেকে সমতা ফেরায় ইউনাইটেড। ড্র থাকলেও চ্যাম্পিয়ন হত ইস্টবেঙ্গলই। তবে সেটা একেবারেই চায়নি বিনো জর্জের ছেলেরা। পরের মুহূর্তেই ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন শ্যামল বেসরা। স্কোরলাইন আর বদলায়নি। শেষ বাজি বাজার সঙ্গেই মাঠে নেমে পড়েন লাল-হলুদ জনতা। মশালের আলোয় পুজোর আগেই আলোকিত লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব। লিগের অন্য ম্যাচে সুরুচি সংঘ ৩-০ গোলে হারাল ইউনাইটেড স্পোর্টসকে এবং ক্যালকাটা কাস্টমস ক্লাব ২-০ গোলে হারাল ডায়মন্ড হারবার। কলকাতা লিগে ৯ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে ভবানীপুর ক্লাবের বিদ্যাসাগর সিং।
