সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) ধরতে সম্প্রতি নতুন করে পদক্ষেপ করেছে ভারত। NIA-এর তরফে UAPA তথা দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছে দাউদ ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। এবার ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন’কে বাগে আনতে ঝাঁপাল ED। অর্থপাচারের অভিযোগে মুম্বইয়ে দাউদ ঘনিষ্ঠদের একাধিক ডেরায় অভিযান চালালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের এক রাজনীতিবিদও ইডির নজরে রয়েছেন। তিনিও অর্থপাচারের সঙ্গে যুক্ত বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে ইডি। অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগে এদিন দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের বাড়িতেও হানা দেয় গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতি চিহ্নিত করতেই পাঁচ বছর! বিরোধীদের কী জবাব অর্থমন্ত্রীর?]
সম্প্রতি পাঞ্জাবে ডি কোম্পানির অস্তিত্ব টের পেয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা মনে করছেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডকে ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসে মদত দিতে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে অর্থ যোগানোয় ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতে দাউদের অনুচরদের। এই সূত্রেই এদিন মুম্বইয়ে অভিযান চালায় ইডি।
উল্লেখ্য, ক’ দিন আগে একাধিক নাশকতামূলক ঘটনায় জড়িত দাউদ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নতুন করে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, এনআইএ-র ডিআইজির নেতৃত্বে একটি দল এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: অনেকটাই নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৩০ হাজারেরও কম]
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় মুম্বই শহরে। মোট ১৩ টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যাতে মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের, আহত হন ৭১৩ জন। এই বিস্ফোরণের মূলচক্রী ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। সেই অর্থে এটাই দেশের প্রথম জঙ্গি হামলার ঘটনা, যা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এরপর থেকেই ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র মূল চক্রী টাইগার মেনন ও দাউদ-সহ বাকি অভিযুক্তদের ধরতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ভারত।
এর মধ্যেই বড় সাফল্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত দাউদ ঘনিষ্ঠ আবু বকরকে (Abu Bakar) গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এর আগে পাকিস্তানের করাচিতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের আরও এক অভিযুক্ত সেলিম গাজির (Salim Gazi)। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।