সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স তো সংখ্যা মাত্র! এই কথায় আর কেউ বিশ্বাস করুক না করুক ফ্লোরিডার এডিথ মুরওয়ে ট্রায়না (Edith Murway-Traina) করেন। তাই তো ১০০ বছর বয়সেও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guinness World Records) নাম তুলতে পারেন। তাও আবার সবচেয়ে বেশি বয়সের পেশাদার ভারোত্তোলক হিসেবে।
[আরও পড়ুন: OMG: বিমান ছাড়বে ২০২২-এ! ভোরে Airport-এ পৌঁছে schedule দেখে মাথায় হাত তরুণীর]
জীবনের ১০০টি বসন্ত পার করা কম কথা নয়। তার ছাপ এডিথে শরীরে পড়েছে। চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে। কাঁধ একটু সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়েছে। কিন্তু ইচ্ছে শক্তিতে এতটুকু ভাটা পড়েনি। এক সময় নাচের শিক্ষিকা ছিলেন এডিথ। ৯১ বছর বয়সে প্রথম ভারোত্তোলন শুরু করেন এডিথ। বন্ধু কারমেন গাটওর্থের আমন্ত্রণে তাঁর জিমে গিয়েছিলেন নবতিপর বৃদ্ধা। সেখানেই অন্যান্যদের ভারোত্তোলন করতে দেখেন। সকলে পারলে তিনি পারবেন না কেন? এই প্রশ্নই জেগেছিল এডিথের মনে। বয়সের তোয়াক্কা না করেই শুরু করে দেন ভারোত্তোলন। প্রথম প্রথম সমস্যা হত। তবে ধীরে ধীরে ভার তোলা এডিথের অভ্যাসে পরিণত হয়।
এখন নাকি প্রায় ৬০ কিলোগ্রাম ওজন তুলতে পারেন ফ্লোরিডার শতায়ু। আর এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কারও পেয়েছেন। এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতাতেও নাম লিখিয়ে ফেললেন শতায়ু। ভারতবর্ষ যখন মীরাবাই চানুর অলিম্পক পদক জেতার আনন্দ উদযাপন করছে, তখন ফ্লোরিডার এডিথ হয়ে উঠলেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের পেশাদার ভারোত্তোলক। নিজের এই কৃতিত্বে এডিথ তো খুশিই, তাঁর চেয়েও বেশি আনন্দিত বন্ধু তথা ট্রেনার কারমেন। সাফল্যের পরও প্রশিক্ষণে একদিনও কামাই নেই শতায়ুর। আরও বেশি ওজন নিজের হাতে তুলতে চান তিনি।