shono
Advertisement

Breaking News

Digital Rape

ডিজিটাল রেপ! অপরাধের নতুন সংজ্ঞা

উত্তরপ্রদেশে এর ভিকটিম চার বছরের একটি শিশু।
Published By: Kishore GhoshPosted: 09:39 PM Jul 21, 2025Updated: 09:39 PM Jul 21, 2025

আঙুল বা কোনও বস্তু সম্মতি ছাড়া গোপনাঙ্গে প্রবেশ করানো ‘ডিজিটাল রেপ’। উত্তরপ্রদেশে এর ভিকটিম, চার বছরের একটি শিশু। ছিঃ!

Advertisement

‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ নিয়ে আতঙ্ক এমন শীর্ষে পৌঁছেছিল যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাসবার্তা দিয়ে বলতে হয়েছিল, এমন কোনও ‘অ্যারেস্ট’ পদ্ধতি ভারতীয় আইনব্যবস্থায় নেই। যে বা যারা ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর কথা বলছে, তারা ভয় দেখাচ্ছে, তারা প্রতারণা করছে, ভুয়া ন্যারেটিভে জড়িয়ে ফেলছে নিরীহ মানুষকে। সাহস ও সতর্কতা দিয়ে একমাত্র রোখা সম্ভব এই প্রতারণা চক্রকে। ‘সাহস’ দরকার এটা বোঝা ও বোঝানোর জন্য যে, কেউ দোষ করেছে কি না তা সাব্যস্ত করবে আদালত।

যতক্ষণ তা না হচ্ছে, মুখের কথায় কেউ গ্রেফতার হতে পারে না, এমন আইন নেই। কারও সেই ক্ষমতাও নেই, বিচারবিভাগকে এড়িয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে। আর ‘সতর্কতা’ দরকার এটা বোঝা ও বোঝানোর জন্য যে, অতর্কিত মুহূর্তে কেউ কিছু দাবি করলেই তা মেনে নেওয়ার কারণ নেই। ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’– এই শব্দবন্ধের পাকেচক্রে পড়ে বহু মানুষ সঞ্চিত অর্থ খুইয়েছেন। জীবনপ্রবাহের সর্বত্রই ‘ডিজিটাল’ শব্দটি জুড়ে আছে এখন। যা কিছু একদা ছিল ঘোরতরভাবে ‘ফিজিক্যাল’, বাস্তবপুষ্ট লেনদেনযোগ্য, তা-ও এখন ডিজিটাল পন্থায় গ্রাহ্য। সুতরাং প্রতারকেরা আসলে ধাক্কা দিতে চাইছে সেই আধো-চেতন দরজায়, যেখানে ‘অ্যারেস্ট’ শব্দটি হয়তো পরিচিত, কিন্তু ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ বললে, এবং সেই অর্থ পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গগম না হলেও, তার সম্ভাবনা ও প্রভাবকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের একটি চার বছরের শিশুকে ‘ডিজিটাল রেপ’ করা হয়েছে। প্রথমেই বলার, এটি কিন্তু ‘ফেক’ বা ‘ভুয়া’ খবর নয়। ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ একটি প্রতারণাধর্মী শব্দবন্ধ হলেও ‘ডিজিটাল রেপ’ তা নয়। ‘এসএসআরএন’ দ্বারা প্রকাশিত একটি আর্টিকল এ-বিষয়ে জানাচ্ছে, “ইন দ্য ইন্ডিয়ান লিগাল কনটেক্সট, ‘ডিজিটাল রেপ’ রেফারস টু আ ফর্ম অফ সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট ইনভলভিং দ্য নন-কনসেনচুয়াল ইনসারশন অফ ফিঙ্গারস অর আদার অবজেক্টস ইনটু ভিকটিম্‌’স বডি।” এখানে ‘ভিকটিম’ ওই চার বছরের শিশুর গোপনাঙ্গে কোনও ধরনের ‘অবজেক্ট’ প্রবেশ করানো হয়, জোর করে, সম্মতির প্রশ্নই ওঠে না বলা বাহুল্য। অভিযুক্ত, স্কুলের ভ্যানচালককে, গ্রেফতার করা হয়েছে।

যেটা বলার, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার যথেষ্ট চেষ্টা সত্ত্বেও ধর্ষণের ঘটনায় লাগাম পরানো যাচ্ছে না, তার অন্যতম বড় কারণ, ধর্ষণের নেপথ্যে জোর ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার তাড়না থাকে। আর, সেজন্যই সম্মতি গ্রহণের প্রশ্নটি তলিয়ে যায়। এখানে চার বছরের শিশুর ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তা নিকৃষ্ট অপরাধ। অত কম বয়সে শিশুদের যৌনবোধ গড়ে ওঠে না, কাজেই সম্মতি বা অসম্মতি প্রদানের বিষয় নয় এটি, এটি আদতে সজ্ঞান অন্যায়। কিন্তু ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর মতো কেউ যেন এই শব্দবন্ধের প্রয়োগকে ঝুটা ভেবে না নেন। এটি বৃহত্তর বিপদের সূচিমুখ। ‘ডিজিটাল রেপ’ শুনলেই পদক্ষেপ করতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • যতক্ষণ তা না হচ্ছে, মুখের কথায় কেউ গ্রেফতার হতে পারে না, এমন আইন নেই।
  • যেটা বলার, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার যথেষ্ট চেষ্টা সত্ত্বেও ধর্ষণের ঘটনায় লাগাম পরানো যাচ্ছে না।
Advertisement