বিধান নস্কর, দমদম: বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam)। আর তার পরই আগামী বছরের দিন ঘোষণা করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২০২৫ সালের মার্চের শুরুতেই হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এদিন বিকাশ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। চলতি বছর পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, তেমনই দাবি সংসদের। আগামী তিনমাসের মধ্যেই ফলপ্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল-সহ (Mobile) ধরা পড়ায় পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ৪১ জনের। তা নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন সংসদ সভাপতি।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেন, ২০২৫ সালের ৩ মার্চ থেকে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ১৮ মার্চ। বিস্তারিত রুটিনও (Routine) প্রকাশিত হয়েছে সংসদের তরফে। এবছরের পরীক্ষা যে সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলেই দাবি তাঁর। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত প্রশ্ন করতেই শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, বেশ কিছু অসাধু চক্র সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা যায় এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত করা যায়। এ ধরনের নানারকম প্রয়াস তারা চালিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সরকার এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদ এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা এ ধরনের ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার যে চক্র, তার মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে।
[আরও পড়ুন: একাধিক অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার শাহজাহানের সঙ্গী আমির আলি গাজি]
ব্রাত্য বসুর আরও বক্তব্য, ”প্রায় সাড়ে ৬০০০ কেন্দ্রে ইচ্ছা করে বহিরাগতদের ঢুকতে দিচ্ছেন অশিক্ষা কর্মচারী বা শিক্ষকরা। সংসদ তাঁদের চিহ্নিত করেছে। আগামী বছর এই সংখ্যাটা একেবারে নির্মূল করা যাবে কিনা জানি না, তবে নিশ্চয়ই কমানো যাবে। যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে সংসদের তরফে। পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি – এইসব জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল অনুমোদন করা হয়েছে। সেগুলো আমরা দেখছি।”