সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বুলেট ট্রেন প্রকল্পেও আত্মনির্ভরতার ছাপ। ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের এই প্রকল্পের ৭২ শতাংশ কাজই নাকি হবে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার মাধ্যমে। যন্ত্রপাতি, লাইন পাতা, সেতু তৈরি, এমনকী জলের নিচে টানেল তৈরির মতো কাজও করবে ভারতীয় সংস্থাই। জাপানি সংস্থাগুলি শুধু প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে এবং সিগন্যালিং, টেলিকম ও রোলিংয়ের কাজ করবে। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন খোদ রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সিইও ভি কে যাদব (V K Yadav)।
বণিকসভা অ্যাসোচাম আয়োজিত এক ওয়েবিনারে ভি কে যাদব বলছিলেন, “জাপান সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর আমরা ৭২ শতাংশ কাজের বরাত ভারতীয় সংস্থাগুলিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারতীয় সংস্থাগুলিই সমস্ত কারিগরি কাজ করবে। যেমন ব্রিজ তৈরি, জলের তলায় টানেল তৈরি। আর জাপানিদের দেওয়া হবে শুধু সিগন্যালিং এবং টেলিকমের কাজ।” রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথায় ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের দিকে এটা বড় পদক্ষেপ। রেল এমনভাবে পরিকাঠামো তৈরি করবে যাতে ২০৫০ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব কাজ এখান থেকেই হয়।
[আরও পড়ুন: মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, উত্তরপ্রদেশে কার্যকর ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী নয়া আইন]
প্রসঙ্গত, মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যেকার ৫০৮ কিলোমিটার লম্বা এই বুলেট ট্রেন (Bullet train) প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা জাপান থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ নিয়ে। জাপান সরকারের প্রতিশ্রুতিমতো মাত্র ০.১ শতাংশ সুদ এবং ১৫ বছরের মোরাটরিয়ামে এই ঋণ পাওয়ার কথা ভারতের। এই প্রকল্পটি সম্পন্নও হওয়ার কথা সম্পূর্ণ জাপানি প্রযুক্তিতে। কিন্তু সম্প্রতি নাকি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কিছু জাপানি সংস্থা বুলেট ট্রেন প্রকল্পে আগ্রহ হারাচ্ছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই প্রকল্পে মাটির তলা দিয়ে যে ২১ কিলোমিটার লম্বা লাইন হওয়ার কথা, সেই ২১ কিলোমিটার লাইন তৈরিতে জাপানি সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা, একাধিক মন্ত্রী পেতে পারে বাংলা]
পরিস্থিতি এমনই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) স্বপ্নের এই প্রকল্প নাকি ৫ বছর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। যে প্রকল্প ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল, সেটা কিনা শেষ হতে পারে ২০২৮ সালে গিয়ে। এই পরিস্থিতিতে এই প্রকল্প শেষ করতে হলে যে শেষপর্যন্ত ভারতীয় সংস্থাগুলিরই প্রয়োজন পড়বে, সেটা ভালমতোই বুঝতে পেরেছে রেল। আর সেকারণেই ‘আত্মনির্ভরতা’র (Aatmanirbhar Bharat) দোহাই দিয়ে দেশি সংস্থাগুলির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।