সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’কে (PFI) নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনে শহরে পিএফআই সদস্যদের মুখে শোনা গেল ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইডি-এনআইএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ওই স্লোগান দিচ্ছেন পিএফআই সদস্যরা। যার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde) টুইট বার্তা, শিবাজির মাতৃভূমিতে দেশবিরোধী স্লোগান মেনে নেওয়া হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ (Karnataka) দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে শনিবার পুনে শহরের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, পিএফআই সদস্যরা সাম্প্রতিক সিবিআই-ইডির ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে মিছিল করছেন। ওই মিছিলেই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান ওঠে বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে টুইট করে সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড় শুরু, প্রথম মনোনয়ন তুললেন শশী থারুর, বিভ্রান্ত G-23 গোষ্ঠী]
শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে টুইট করেন, “পুনেতে যে ধরনের দেশবিরোধী ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান উঠেছে তার জন্য নিন্দা করাই যথেষ্ট নয়। পুলিশ অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ছত্রপতি শিবাজীর মাতৃভূমিতে এই ধরনের স্লোগান বরদাস্ত করা হবে না। উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও (Devendra Fadnavis) এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেউ যদি মহারাষ্ট্রে তথা ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান তোলে, তবে তাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: ইন্টারনেটে ছড়াচ্ছে শিশু পর্নোগ্রাফি, দুষ্টচক্রকে রুখতে দেশজুড়ে CBI হানা]
এদিকে এদিন পিএফআই সম্পর্কে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, “গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা সবাই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।”