সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুনিয়ার দু’প্রান্তের বাসিন্দা ওরা। কিন্তু সাধারণের উদ্দেশে ওদের বার্তা একটাই। উন্নয়নের নাম নিয়ে যত্রতত্র গাছ কাটা বন্ধ করুন। একজন এলাংবাম ভালেন্তিনা দেবী। অন্যজন গ্রেটা থর্নবার্গ। প্রথমজন ইম্ফলের বাসিন্দা। বয়স ৯। আর গ্রেটা ১৬ বছরের বার্লিনের মেয়ে।
[আরও পড়ুন: চাঁদমামার গল্প লিখে পাঠাতে বলল ইসরো]
রাস্তা বাড়ানোর নামে বা মেট্রো স্টেশনের নামে কলকাতার যশোর রোড বা আশপাশের এলাকার অবাধ গাছকাটার দৃশ্য সবার দেখা। অনেকেই দেখেন। কিন্তু কিছু বলেন না। সেই সমস্ত মুখে কুলুপ আঁটা মানুষদের দেখিয়ে দিলেন প্রতিবাদী ভালেন্তিনা এবং গ্রেটা।
সাধারণ দিনের মতো রবিবার ইম্ফলের নদীর পাড় পরিষ্কারের নামে গাছ কাটা হচ্ছিল। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ভালেন্তিনা সেই দেখে আর থাকতে পারেনি। কান্নামাখা চোখে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে গাছটাকে। আর মুখে একটাই কথা, ‘‘কেটো না, প্লিজ। ওরা আছে, তাই আমরা আছি।” খুদের এই আর্তি না শুনে থাকতে পারেনি মণিপুর সরকার। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ভালেন্তিনাকে রাজ্যের ‘গ্রিন অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ভালেন্তিনার উদ্যোগে ইতিমধ্যে চালু হয়েছে যুব ক্লাব। আপাতত একহাজার চারা রোপণ করবে ক্লাবের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: গাছ কাটা ঠেকাতে অডিট, সিদ্ধান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের]
ভালেন্তিনার প্রতিবাদ কাজে লেগেছে। গ্রেটা কিন্তু এখনও লড়ে যাচ্ছে। তার ‘মাদার আর্থ’কে সে এইভাবে নষ্ট হয়ে যেতে দেবে না। দশমের এই পড়ুয়া প্রায় ন’মাস ধরে প্রতি শুক্রবার স্কুলে যায় না। ওইদিন তার প্রতিবাদ প্রদর্শনের নির্দিষ্ট সময়৷ বিশ্ব উষ্ণায়ণের বিরুদ্ধে এমন ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে প্রথমে গ্রেটা একাই ছিল। এখন তাকে সমর্থন দিয়েছে গ্রেটার মতোই ৪০০ পড়ুয়া। গ্রেটার প্রতিবাদের কথা আমেরিকা-ইউরোপে এখন মুখে মুখে ফেরে। বিশ্বের যুব সমাজকর্মীদের মধ্যে অন্যতম গ্রেটা। প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে জার্মানির রাস্তায় গ্রেটা লিফলেট বিলোচ্ছে। যাতে লেখা প্রকৃতি রক্ষার নানা উপায়। স্লোগান দিচ্ছে। ইউরোপের অতি চেনা ছবি। কিন্তু কাজ হচ্ছে কোথায়? আপাতত গ্রেটা তারই মতো দেশবিদেশের প্রতিবাদী স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে স্টকহোমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঠান্ডা ঘরে বসে রাষ্ট্রনেতারা কী ভাবছেন, সেটাই দেখার।
The post ‘গাছ কেটো না প্লিজ’, কান্নামাখা চোখে কাতর আর্তি খুদের appeared first on Sangbad Pratidin.