সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে দুই দলকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস মহাসচিব জয়রাম রমেশ। গত ১৪ নভেম্বর এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় কমিশনে। দাবি করা হয়, ৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের নাসিক ও ধুলেতে নির্বাচনী প্রচারে মিথ্যা, বিভাজনমূলক ও আপত্তিকর নিন্দনীয় ভাষণ দিয়েছেন মোদি-শাহ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এই ঘৃণা ভাষণের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হোক এমন দাবিও জানানো হয়।
অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন রাম মেঘওয়াল। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, রাহুল নির্বাচনী ভাষণে রাজ্যগুলিকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই বাধানোর চেষ্টা করেছেন। সংবিধানের বিরুদ্ধে ভাষণ দিয়েছেন ও বিজেপি সংবিধান নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে মিথ্যা ভাষণ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিজেপির অভিযোগ, বার বার সতর্ক করা হলেও একই কাজ করে চলেছেন রাহুল। ফলে অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানানো হয়।
একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের জেরে এদিন দুই দলের সভাপতিকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে দুই দলকে নোটিসের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করে জানানো হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে দুই দলই যেন প্রচারে আদর্শ আচরণবিধিকে গুরুত্ব দেয়।