সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্যটকদের সুরক্ষার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পহেলগাঁও হামলার নিন্দায় সোমবার বিশেষ অধিবেশন হয় কাশ্মীর বিধানসভায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওমর বলেন, গোটা ঘটনায় তিনি ব্যথিত। কিন্তু পহেলগাঁও হামলাকে হাতিয়ার করে তিনি কখনই কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা চাইবেন না।
সোমবার কাশ্মীর বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওমর বলেন, "পহেলগাঁও হামলা গোটা দেশকে প্রভাবিত করেছে। গত ২১ বছরে এমন হামলা দেখেনি বৈসরন। আমি জানি না মৃতদের পরিবারকে কীভাবে সান্ত্বনা দেব।" নিজেকে কাশ্মীরের 'গৃহকর্তা' হিসাবে তুলে ধরে ওমর বলেন, "পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া আমার কর্তব্য ছিল। কিন্তু সেটা করতে পারিনি। ক্ষমা চাওয়ার ভাষাও নেই আমার।"
পহেলগাঁও হামলার পরে অনেকেই আঙুল তুলেছেন ওমর আবদুল্লা সরকারের দিকে। তাঁদের মত, দীর্ঘ ১০ বছর পরে কাশ্মীরে নির্বাচন হয়েছে এবং জিতেছে ইন্ডিয়া জোট। তারপরেই জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি। কিন্তু কাশ্মীরের সেনা বা পুলিশ-কোনওকিছুর উপরেই কাশ্মীর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। তা সত্ত্বেও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন ওমর আবদুল্লা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলাকে ব্যবহার করে মোটেও কাশ্মীরের অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি করবেন না তিনি। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "পহেলগাঁও হামলার পর আমি কোন মুখে কাশ্মীরের জন্য পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দাবি করব? আগে আমরা এই দাবি করেছি, আগামী দিনেও করব। কিন্তু এখন যদি কেন্দ্রের কাছে গিয়ে বলি যে ২৬ জনের এভাবে মৃত্যু হয়েছে এখন আমাদের রাজ্যের মর্যাদা দাও, সেটা আমার পক্ষে খুবই লজ্জাজনক হবে। আমার রাজনীতি কি এতই সস্তা?" উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই অঙ্গরাজ্যের স্বীকৃতি চেয়ে সুর চড়িয়েছে কাশ্মীর। তবে ২০২৪ সালে নির্বাচন হলেও পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতি এখনও মেলেনি ভূস্বর্গের।
