সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ড তথ্য প্রকাশ্যে এলে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে, সেই আশঙ্কা অনেকেই করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন তথ্য প্রকাশ করার পর দেখা গেল, নির্বাচনী বন্ড লেনদেনে এমন কিছু কাণ্ড সত্যিই ঘটেছে, যা কেন্দ্রের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এমন কিছু সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সি। আবার এও দেখা গিয়েছে, এমন কিছু কিছু সংস্থা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়েছে, যারা বড় বড় সরকারি প্রকল্পের বরাত পেয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond) মাধ্যমে অনুদান দেওয়া প্রথম ৩০টি সংস্থার মধ্যে ১৪টিতেই গত কয়েক বছরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই, ইডি কিংবা আয়কর দপ্তর। এমনকী এর মধ্যে কয়েকটি সংস্থা বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা দেওয়ার পর হঠাত করেই তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের গতি কমে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডেডলাইন শেষের আগেই ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ করল কমিশন]
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দেওয়া অনুদানের নিরিখে সবার উপরে রয়েছে বিতর্কিত লটারি ব্যবসায়ী মার্টিন স্যান্টিয়াগোর সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’। তারা কিনেছে মোট ১,৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড। এই স্যান্টিয়াগোর মূল ব্যবসা লটারি। তিনি লটারি কিং নামেও পরিচিত। এই তালিকায় দু নম্বরে আছে ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। বিখ্যাত তেলুগু ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রেড্ডির সংস্থা ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে। ৪১০ কোটি টাকার বন্ড কিনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ‘কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড’। এই সংস্থার সঙ্গে আম্বানিদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে বলেও খবর। এ রাজ্যের সংস্থা ‘হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড’ ৩৯৫ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে।
[আরও পড়ুন: লোকসভার সঙ্গেই রাজ্যের দুই বিধানসভার উপনির্বাচন, ইঙ্গিত কমিশনের]
এর মধ্যে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং, হলদিয়া এনার্জির মতো সংস্থার বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ইডি, সিবিআই তদন্ত করেছে। আবার এই মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ অনুদানে প্রথম সারিতে থাকা একাধিক সংস্থা আবার সরকারের অনুগ্রহ প্রাপ্ত। এই সংস্থাগুলির বেশ কয়েকটা বড়বড় সরকারি বরাত পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা এর মধ্যে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে।