সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটার (Twitter) কেনার পরে এক বছরও কাটেনি। এর মধ্যেই টুইটার কর্তা এলন মাস্ক বললেন, এই সংস্থা চালাতে তিনি প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ছেন। সঠিক ক্রেতা পেলে টুইটার বিক্রি করে দিতেও দু’বার ভাববেন না। সদ্যই বিবিসিতে (BCC) প্রকাশিত হয়েছে মাস্কের একটি ইন্টারভিউ। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাটিকে ‘সরকার পোষিত’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিল টুইটার। সেই বিষয় নিয়েও মুখ খুলেছেন মাস্ক।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে টুইটার কেনেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। তারপরেই প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছেঁটে ফেলেন তিনি। বিবিসি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, “টুইটারের যা তহবিল ছিল, তাতে টেনেটুনে মাত্র চার মাস চলতে পারত সংস্থাটি। কর্মী ছাঁটাই করে অন্তত ৩০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে। তবে আগের থেকে ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে টুইটার।”
[আরও পড়ুন: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত নয়’, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের অভিযোগে ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
তবে ব্যবসায়িক দিকে টুইটারকে সাফল্য এনে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়েছে বলেই দাবি করেছেন মাস্ক। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এমনও হয়েছে আমি কাজ করতে করতে অফিসেই ঘুমিয়ে পড়েছি। টুইটার কেনার পর মনে হয়েছিল রোলার কোস্টারে উঠেছি। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। পুরো সময়টা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।” তবে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি এখনও মনে করেন, টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। যদিও সঠিক ক্রেতা পেলে হয়তো এই সংস্থা বিক্রি করে দিতে পারেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই টুইটারের নাম থেকে W অক্ষরটি মুছে ফেলেন মাস্ক। সেখান থেকেই জল্পনা শুরু হয় তাহলে কি মাইক্রোব্লগিং সাইটের নাম বদলে যাচ্ছে? সরাসরিভাবে এই প্রশ্নের জবাব দেননি মাস্ক। তবে আগামী দিনে টুইটারে নানা বদল দেখা যাবে, সেরকমই আভাস দিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে, বিবিসির টুইটার বায়োতে ‘সরকার পোষিত’ কথাটি লেখা হয়। তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে মাস্ক সাফাই দিয়ে বলেন, “ব্রিটিশ সংস্থাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন শব্দ লেখা হবে বিবিসির টুইটার বায়োতে।”