গৌতম ব্রহ্ম: বলিউড কিংবা দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় বাংলা কেন পিছিয়ে? বারবার এই প্রশ্ন আলোচনা-সমালোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে। বাজেটের সমস্যা কিংবা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যে পরিমাণ বিপুল টাকা খরচ হয়, সেই টাকা টলিউডের ক্যাশবাক্সে না থাকার সমস্যাও উঠে এসেছে একাধিকবার। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এল বড় উপহার।
বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও চাঙ্গা করতে যৌথ উদ্যোগে এগিয়ে এল স্পেন-অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নে এই প্রথম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ক্রিয়েটিভ ইকোনমি সেশনের আয়োজন করা হয়। বিদেশি লগ্নিকারীদের সামনে বাংলার চলচ্চিত্র, থিয়েটার, চিত্রকলা, প্রকাশনা, উৎসব-সহ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের সম্ভাবনাও তুলে ধরা হয়। বক্তার তালিকায় ছিলেন ক্রীড়া, বিদ্যুৎ ও আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পর্যটন ও তথ্যসনাকৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, নিসপাল সিং রানে, জুন মালিয়া, সুদেষ্ণা রায়, ধ্রুবজ্যতি বোস প্রমুখ।
অস্ট্রেলিয়ার কনসাল জেনারেল রোয়ান আইন্সওয়ার্থ, স্পেনের কালচারাল কাউন্সিলর গুইলেরমো মার্টিন সেন্দেরোস বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তুলে ধরলেন কীভাবে এই রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটিয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করা যায়। বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে এই প্রথম ক্রিয়েটিভ ইকোনোমিকে অন্তর্ভুক্ত করায় আপ্লুত গৌতম ঘোষও।
[আরও পড়ুন: ‘ইন্ডাস্ট্রি সম্মান দেয়নি, ন্যায়বিচার করেছেন ঈশ্বর’, আক্ষেপে IFFI-র মঞ্চে কেঁদে ফেললেন সানি দেওল]
পরিচালকের মন্তব্য, “রাজ্য সরকার লোকশিল্পীদের প্রচুর সহযোগিতা করছে, কিন্তু আমাদের এর বাইরে অনেকগুলো ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। সেটা প্রকাশনা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র শিল্প সব ক্ষেত্রেই। অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন, দুই মন্ত্রীই আমাদের সঙ্গে বসে ছিলেন। সিনেমা তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ হল প্যারাডাইস। আমার বিশ্বাস, বাইরের বহু চলচ্চিত্র নির্মাতা পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। আমি পৃথিবীর বহু জায়গায় কাজ করতে গিয়েছি। বম্বে, পোল্যান্ড শিল্পীদের মধ্যে বহু গ্রাফিক আর্টিস্ট পশ্চিমবঙ্গের।”
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার গিল্ডের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সুধাংশু শেখর দে ও ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই প্রকাশনা ব্যবসায় বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্বজনীন হওয়া দুর্গোৎসবকে কীভাবে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই নিয়ে তথ্যবহুল বক্তব্য পেশ করেন ধ্রুবজ্যোতি বসু। ছিলেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সভাপতি কাজল সরকার ও সম্পাদক শাশ্বত বসুও।