সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবে আর থাকা যায় না। দেশের অন্দরে কোথাও গেলে, আদালতের অনুমতি, দেশের বাইরে গেলে তো নানা জিজ্ঞাসাবাদ! ঠগ সুকেশের সঙ্গে প্রেমের মূল্য যে এভাবে দিতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সুন্দরী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। ভালোই তো চলছিল সব। গোপনে দেখা হচ্ছিল, ভরপুর প্রেম ছিল। হাত ভর্তি উপহার ছিল। আর এখন, হাতে শুধুই নানা সময় নানা মামলার কাগজপত্র। হ্যাঁ, বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিনের মনে এখন এমনই ঝড়। টালমাটাল কেরিয়ার সামলে উঠতে না উঠতেই দুনীর্তির সঙ্গে যোগ। প্রেমিকের ছদ্মবেশে যে ঠগ আসবেন, তা থোড়াই জানতেন তিনি। এখন উপায়?
বলিউড সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। ২০০ কোটি টাকার দুনীর্তিতে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ইডি-র তরফে ফৌজদারি মামলা জারি করা হয়েছে জ্যাকলিনের নামে। সম্প্রতি এই ফৌজদারি মামলা বাতিল করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন জ্যাকলিন। অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশের তরফে করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় প্রধান সাক্ষী তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বাঙালিরা অ্যানিম্যাল নিয়ে হইহই করে কিন্তু জিতের মানুষ দেখে না!’, বিস্ফোরক ‘প্রধান’ দেব]
প্রসঙ্গত, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ। তার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই আইনি জটিলতায় জড়াতে হয়েছে জ্যাকলিনকে। যদিও এর আগে আদালতে সুকেশ দাবি করে, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় জ্যাকলিন কোনওভাবেই জড়িত নন। বিচারকের সামনে সুকেশ তখন বলেছিল, “জ্যাকলিন এই মামলার অংশ নয়, ওর কোনও চিন্তা নেই। আমি ওকে বাঁচানোর জন্যই এখানে আছি।” যদিও সুকেশ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জ্যাকলিন। এ বিষয়ে একটিও মন্তব্য খরচ করতে তিনি রাজি নন।
আপাতত তিহার জেলে বন্দি সুকেশ (Sukesh Chandrashekhar)। সেখান থেকেই জ্যাকলিনকে একের পর এক চিঠি পাঠিয়ে চলেছে। এবার জ্যাকলিনকে বাঘিনী বলে সম্বোধন করে লিখেছিলেন, “বেবি প্রথমেই বলি দোহার শোয়ে তোমায় দারুণ হট লাগছিল। আমার বম্মা তোমার থেকে সুন্দর এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই।” তবে এসব মিথ্যে প্রেমের ফাঁদে জ্যাকলিন আর পড়তে চান না। বরং জ্যাকলিন এখন এসব থেকে দূরে থাকতে পারলেই বেঁচে যাবেন।
[আরও পড়ুন: ‘২৫০ কোটি নিলে, আর কত?’, চড়াও ‘কবীর সিং’! কাকে দেখে মেজাজ সপ্তমে শাহিদ কাপুরের?]