সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্গনা রানাউতের হলটা কী? বলিউড ক্যুইনের তো সস্তার পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই। তাহলে কি নিজে থেকেই বির্তকে জড়াতে ভালবাসেন তিনি? কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন তকমা কি খুব প্রিয় অভিনেত্রীর? কঙ্গনার (Kangana Ranaut) কাণ্ডকারখানা দেখে এমন প্রশ্নই তুলছে নেটিজেনদের একাংশ। কেন? কারণ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিবসেও বিস্ফোরক টুইট করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তিনি।
১৯৪৮ সালের আজকের দিনেই নাথুরাম গডসের গুলিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন জাতির জনক। আর তাঁর প্রয়াণ দিবসেই কিনা নাথুরামের সমর্থনে টুইট করলেন কঙ্গনা। গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে বরাবরই উলটো পথে হাঁটায় বিশ্বাসী কঙ্গনা। তাঁর সেই সাহসিকতাকে কুর্নিশও জানান অনুরাগীরা। কিন্তু এবার তিনি যা করলেন, তাতে প্রশংসা তো দূর, তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হল। মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানোর ধারেকাছে না গিয়ে কংগ্রেস সরকারের নিন্দা এবং নাথুরাম গডসের তারিফ শোনা গেল কঙ্গনার গলায়।
[আরও পড়ুন: বিহারে দিনেদুপুরে গুলিবিদ্ধ সুশান্ত সিং রাজপুতের ভাই, অবস্থা আশঙ্কাজনক]
এদিন তিনি টুইট করেন, “প্রতিটা গল্পের তিনটে দিক রয়েছে। আমার, আপনার এবং সত্যের। একজন ভাল কথক যেমন সব স্বীকার করে না, তেমন সব লুকিয়েও রাখে না। সেই জন্যই আমাদের পাঠ্যবইগুলি কোনও কাজের নয়। কেবল নানা ধরনের ব্যাখ্যায় ভরতি।” পোস্টের সঙ্গে হ্যাশট্যাগ নাথুরাম গডসেও (Nathuram Godse) লেখেন কঙ্গনা। আর সেই সঙ্গে গান্ধীর হত্যাকারীর সঙ্গে দেশভাগের যন্ত্রণার একটি ছবিও পোস্ট করেন। যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, ইতিহাসে দেশভাগের নেপথ্য কাহিনি দেশবাসীর সামনে তুলে না ধরে নাথুরামকেই ‘ভিলেন’ আখ্যা দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার।
স্বাভাবিকভাবেই কঙ্গনার এমন পোস্টে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাঁর মতো পাবলিক ফিগারের এমন পোস্ট করা শোভা পায় না বলে তীব্র আক্রমণ করেন অনেকেই। অনেকে আবার সরাসরি লেখেন, “নাথুরাম গডসেকে সমর্থন করছেন? আপনার লজ্জা করা উচিত।” অনেকে আবার কঙ্গনাকে মোদি সরকারের তোষামোদকারী হিসেবেও কটাক্ষ করেছেন। এর আগেও কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নেটিজেনদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন কঙ্গনা। এবার মহাত্মা গান্ধীকে ‘অপমান’ করায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার বাসিন্দারা।