সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পাক অভিনেতা-গায়ক আলি জাফর। না, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততার কারণে নয়। আসলে তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। পাক সংগীত শিল্পী তথা অভিনেত্রী মীশা শাফি তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন।
ছবির দুনিয়ায় কাজ পেতে বা পরিচিতি পেতে পরিচালক-প্রযোজকদের ‘খুশি’ করা খুব জরুরি। হলিউডের মতো বলিউডেও ছবিটা একই। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে রাধিকা আপ্টে সকলেই ঝকঝকে ইন্ডাস্ট্রির আড়ালের অন্ধকার রূপটা তুলে ধরেছেন। কীভাবে উঠতি অভিনেত্রীদের কাস্টিং কাউচ-এর শিকার হতে হয়, ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে একের পর এক সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন নামজাদা নায়িকারা। এবার এই হ্যাশট্যাগ দিয়েই নীরবতা ভাঙলেন পাক অভিনেত্রী মীশা।
[আরও একটি পালক জুড়ল কোহলি ও দীপিকার সাফল্যের মুকুটে]
গানের রিয়ালিটি শো ‘কোক স্টুডিও পাকিস্তান’-এর অত্যন্ত পরিচিত মুখ মীশা। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলি জাফরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। লেখেন, তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে তা নিয়ে আর মুখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না তিনি। তাঁর দাবি, বিষয়টা সকলের জানা উচিত। “শ্লীলতাহানি নিয়ে কথা বলা খুব কঠিন। কিন্তু আর চুপ করে থাকাও সম্ভব নয়। আমি আলির ব্যবহারে অত্যন্ত বিরক্ত।” আলি জাফরকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি জানান, পাক অভিনেতার সঙ্গে কোনও ছবিতে একসঙ্গে কাজ না করলেও পরস্পরকে দীর্ঘদিন চেনেন তাঁরা। মঞ্চে একসঙ্গে পারফর্মও করেছেন। আর সেই অভিনেতার হাতেই একাধিকবার শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তবে কেরিয়ারের শুরুতে নয়। পাক ছবি ও টেলিভিশনের দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পরও এমন হেনস্তার শিকার তিনি। দুই সন্তানের মা মীশা বলছেন, “মহিলারা কোথাও নিরাপদ নয়। প্রত্যেক মহিলাকেই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। কিন্তু সমাজের কথা ভেবে অনেকেই ভয়ে লজ্জায় তা জানাতে পারেন না। সমাজের সেই ট্যাবু ভেঙে আজ সব জানালাম।”
তবে মীশার আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন আলি। তাঁর পোস্টের উত্তরে অভিনেতা বলেন, “এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার গোপন করার কিচ্ছু নেই। তবে বিষয়টা নিয়ে এখানে কোনও মন্তব্য না করে আমি আইনি পথে হাঁটব। আমার মনে হয় সত্যিটা সকলের জানা উচিত।”
[ইস্টবেঙ্গলকে দুরমুশ করে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন সুনীল ছেত্রীরা]
The post আলি জাফরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, পালটা দিলেন পাক অভিনেতা-গায়ক appeared first on Sangbad Pratidin.
