সন্দীপ্তা ভঞ্জ: অভিশপ্ত চমকপুর। অভিশাপ সেখানকার আকাশে-বাতাসে। সুন্দরবনের বনবিবির মতো সেই পাহাড়ি গ্রামের জাগ্রত দেবী পর্ণশবরী। দেবী রুষ্ট হলে কী মারাত্মক পরিণতি হতে পারে? সেই হাড়হিম করা গল্পই বলে ‘পর্ণশবরীর শাপ’। সৌভিক চক্রবর্তীর লেখা এই রোমাঞ্চকর গল্প সানডে সাসপেন্সেও শুনেছেন অনেকে। তবে পরিচালকের আসনে বসে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যে রোমহর্ষক সিরিজ পরিবেশন করলেন, তা দেখতে বসে সত্যিই গায়ে কাটা দেয়!
ভূত চতুর্দশী তিথিতে মুক্তি পেয়েছে ‘পর্ণশবরীর শাপ’। আর এইসময়ে ‘তেনাদের’ গল্প বলার মোক্ষম সময়। টলিউডের বড়পর্দায় তো এখন গোয়েন্দাদের ভিড়, তাই সম্ভবত ভূতেরা নিজেদের ভবিষ্যতের লক্ষে পাড়ি দিয়েছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে! মনুষ্যত্বের দাম না দিলে যে ঈশ্বরও ছেড়ে কথা বলেন না, সেই গল্পই এখানে থ্রিলার রিভেঞ্জ ড্রামার মোড়কে পরিবেশন করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক হিসেবে পয়লা ওয়েব সিরিজেই নিপুণতার ছাপ রেখেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শতবর্ষে বড়মার পুজো, ব্যস্ত শিডিউলেও মায়ের টানে নৈহাটিতে হাজির শ্রাবন্তী-শ্রুতিরা]
‘পর্ণশবরীর শাপ’-এর সাতটি পর্বই বেশ গা ছমছমে। বিশেষ করে উল্লেখ্য, সিরিজের ক্যামেরার কাজ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। পাহাড়ের জঙ্গলে আলো, আঁধারি সৃষ্টি করে যেভাবে একেকটা দৃশ্য ক্য়ামেরাবন্দি করা হয়েছে। এবং সেই ভুতুড়ে সিকোয়েন্সগুলোকে আরও জোরদার করেছে আবহ সঙ্গীত। নীরেন্দ্রনাথ ভাদুড়ির ভূমিকায় চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী অসাধারণ। বিশেষ করে জঙ্গলের ভিতর তাঁর তন্ত্রচর্চা শিহরণ জাগায়। মিতুলের ভূমিকায় সুরঙ্গনার অভিনয়ও দারুণ। তাঁকে ঘিরেই এই সিরিজ। তাঁর প্রেমিক তথা হবু স্বামীর চরিত্রে গৌরব চক্রবর্তী যথাযথ। প্রতিটা কাজের মতো অর্ণ মুখোপাধ্যায় ‘পর্ণশবরীর শাপ’-এও পরিমিত। এছাড়াও উল্লেখ্য, অনিন্দিতা বোসের পারফরম্যান্স। পরমব্রত হাত ধরে বাংলার ওয়েব প্ল্যাটফর্মে নেপালি ভূতের গপ্পো দেখতে বসে কোথাও বোর লাগে না। হইচই প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং হচ্ছে এই সিরিজ।