সুলয়া সিংহ: সনাতন দিন্দার সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক। আরও একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন বাংলার শিল্পী। বিশ্ব বডি পেন্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে ফের সেরার শিরোপা পেলেন তিনি।
ক্যানভাস হোক বা মৃন্ময়ীকে চিন্ময়ী রূপে ফুটিয়ে তোলা, সনাতন দিন্দার (Sanatan Dinda) আঙুলের জাদুতে সৃষ্টি হয় নতুন শিল্পের। তাঁর তুলির টানে মানুষের শরীরও নবকলেবরে বহন করে গভীর বার্তা। আর সেই বার্তা দিয়েই আরও একবার চ্যাম্পিয়নের তকমা পেয়ে গেলেন স্বনামধন্য এই শিল্পী। মোট ১৬০ পয়েন্টের মধ্যে সনাতনের সংগ্রহ ১৪৯। বাংলার শিল্পীর পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জার্মানি ও ইটালির শিল্পী। এই নিয়ে তৃতীয়বার বডি পেন্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে (World Body Painting Championship) সেরার মুকুট উঠল তাঁর মাথায়। এছাড়াও এই মঞ্চে দু’বার রানার্স আপও হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল না বিজেপির সাংসদ? আগামী সপ্তাহেই সংসদে শিশির অধিকারীর ভাগ্য নির্ধারণ]
অস্ট্রিয়ার ক্লাগেনফুর্টে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের বিষয়বস্তু ছিল ‘জেনারেশন নেক্সট’। অর্থাৎ কোন পথে হাঁটতে পারে দুনিয়া? কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে রয়েছে আগামী প্রজন্মের জন্য? মডেলের শরীরের ভাঁজে ভাঁজে নানা রঙের প্রলেপে নিজের শৈল্পিক ছোঁয়ায় ভবিষ্যতের একটুকরো পৃথিবী ফুটিয়ে তুললেন সনাতন। যেখানে মানুষ যেন রোবটে পরিণত হয়েছে। কুলুঙ্গিতে তোলা আবেগ। প্রযুক্তি আর যান্ত্রিকতার যুগে ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে সমস্ত আবেগ-অভিমান-যন্ত্রণা। তাঁর ভাবনায় উজ্জ্বল ক্লিন্টের বিখ্যাত ‘দ্য কিস’ ছবিটি। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার চিত্রসাংবাদিক কেভিন কার্টারের তোলা কঙ্কালসার শিশু আর ক্ষুধার্ত শকুনের ছবিটিও ফুটে উঠেছে সেখানে।
বিশ্ব দরবারে শিল্পীর চোখ দিয়ে যা তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন তাতে তিনি সফল। এই বার্তা মন ছুঁয়েছে বিচারকদের। আর তাই ফের সেরা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত সনাতন দিন্দা। প্রতিযোগিতার নানা মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন তিনি। তাঁর শৈল্পিক নান্দনিকতা বিশ্বমঞ্চে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা বিশ্বের শিল্পমহলের। এবারই দুর্গাপুজোয় সনাতনের পঁচিশে পা। তার আগেই ২৫ তম বিশ্ব বডি পেন্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়া তাঁকে আরও বেশি তৃপ্ত করল বইকী।