দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা সঙ্গীতের মাহাত্ম্য বুঝেছিলেন এ বাংলারই স্বর্ণযুগের শিল্পী। এবার সেই সুরের বাঁধনেই জগৎকে বাঁধার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েছেন ইটালির বংশীবাদক সাইমন ম্যাটিয়েলো। সুদূর ইটালি থেকে সুন্দরবনে এসেছেন তিনি, বাঁশিতে নোনা মাটির সুর তুলে শ্রোতাদের মন জয় করতে। করলেনও তাই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের কুলতলিতে কৃষ্টি ও লোকসংস্কৃতি মেলায় একঘণ্টা ধরে সাইমনের বাঁশি মু্গ্ধ হয়ে শুনলেন বাসিন্দারা। বাংলার মাটি-জল-হাওয়াকে বাঁশিতেই অনুভব করেন বলে জানালেন সাইমন।
আসলে ইটালির সাইমন ম্যাটিয়েলো বিশ্ববিখ্যাত একজন বংশীবাদক। কুলতলিতে এই মেলায় পারফর্ম করার জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কালচার রিলেশন এবং বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেখান থেকে সাইমন সুন্দরবন আসার অনুমতি পান। বুধবার দমদম বিমানবন্দরে নামার পর সুন্দরবন পৌঁছেই সেখানকার প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যান বিখ্যাত এই বংশীবাদক। বাঁশির সুরেই আপন করে নেন সুন্দরবনকে। আর সন্ধ্যায় কুলতলির লোকসংস্কৃতি মেলায় একঘণ্টা ধরে বাঁশি বাজিয়ে বঙ্গবাসীর মন জয় করে নিলেন সাইমন।
ইটালির এই বংশীবাদকের কথায়, ''বাঁশির সুরে সারা বিশ্বকে আমি এক সূত্রে বাঁধতে চাই। আর তার জন্য আমার সুন্দরবনে আসা। সুন্দরবনের প্রতিটি নদীনালা, মাটি, জল-জঙ্গল সবকিছুই আমি বাঁশির সুরে উপলব্ধি করি। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমি আমার বাঁশির সুরকে পৌঁছে দিয়েছি। সুন্দরবনেও পৌঁছে দিলাম।'' ছোটবেলা থেকেই বাঁশি ভীষণভাবে টানত সাইমনকে। সারাক্ষণ বাঁশিতে সুর তোলাই ছিল নেশা। তাঁর বাঁশির সুর সবাইকে আকৃষ্ট করত। বড় হয়েও সেই বাঁশিকেই তিনি সঙ্গী করেছেন বিশ্ব দরবারে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বংশীবাদক সাইমন ম্যাটিয়েলো। আর এভাবেই সাইমনের বাঁশির সুরে মিলে গেল ইটালি আর সুন্দরবন।
