বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ভোট বড় বালাই। ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির বন্যা। এবার ক্ষমতায় এলে গরিব মানুষের পকেটে সরাসরি নগদ টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিল জোট শরিক কংগ্রেস (Congress)। ছত্রিশগড় সরকারের মতো বাংলাতেও নগদ অর্থ পৌঁছনোর কথা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। পাশাপাশি, পাড়ায় পাড়ায় না গিয়ে বাংলার মানুষের পকেটে যান বলে কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিলেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা। ক্ষমতায় এলে একবছরের মধ্যে সমস্ত শূন্যপদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন জোটের আরেক শরিক সিপিএম।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মতো বর্ষবরণের রাতেও ভিড় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ হাই কোর্টের, নিরাপত্তায় জোর পুলিশের]
ক্ষমতায় এলে বেকারদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্ম বিলি করেছিল বিজেপি। তা নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরমধ্যেই ক্ষমতায় এলে সমস্থ সরকারি শূন্যপদ পূরণের আশ্বাস দেন বাম পিরষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁকে একধাপ টপকে গরিব মানুষের পকেটে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর ব্যাখ্যা, লকডাউনের জেরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছে। মানুষ অর্থ সংকটে ভুগছে। এই অর্থ সংকট কাটাতে আগেই কংগ্রেসও বামেদের পক্ষ থেকে আয়কর দেন না এমন মানুষের কাছে মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানান হয়। কিন্তু কেন্দ্র সেই দাবি মানেনি। তাই ছত্রিশগড়ে কংগ্রেস শাসিত সরকারের পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
অধীরের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দাবি না মানায় ছত্রিশগড়ে কংগ্রেস শাসিত সরকার প্রতিমাসে ৫৭৫০ টাকা করে নগদ দিচ্ছে। এই রাজ্যেও এই প্রকল্প শুরুর প্রয়োজন আছে বলে মনে করে কংগ্রেস। তবে বিপুল পরিমাণ এই অর্থ রাজ্য সরকার কোথা থেকে পাবে সেই দিশা অবশ্য দেখাননি প্রদেশ সভাপতি। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় যে কোনও প্রকল্পের টাকা লুঠ হচ্ছে। সেই লুঠের সঙ্গে শাসকদলের নিচুতলার নেতারা জড়িত। এই লুঠ বন্ধ করতে রাজ্য সরাসরি নগদ পৌঁছে দিক বলে দাবি জানান তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারদের সাহায্য করারও দাবি জানান হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।