গৌতম ভট্টাচার্য: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন। জল্পনা উসকে গত শনিবার রাজনীতি ছেড়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এর পরই উঠছিল প্রশ্ন, তাহলে কি মন্ত্রিত্ব হারিয়েই রাজনীতি ছাড়লেন বাবুল? কেন হারাতে হল মন্ত্রিত্ব? বুধবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে সরাসরি সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
গত মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়। সেই সময় মোদির মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন বাবুল। কিন্তু কেন? আসানসোলের সাংসদের কথায়, “বিজেপির কাছে রাজনীতিতে হয়তো আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই আমি অবসর নিলাম।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাবুলের কথায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কথা। বলেন, “মোদিজি একসময় বলেছিলেন, বাবুলনে আপনা সবকিছু দে দিয়া, মুঝে বাবুল চাহিয়ে। আমিও তৈরি ছিলাম। কিন্তু এখন হয়তো রাজনীতিতে প্রয়োজন ফুরিয়েছে আমার। কত খেলোয়াড়ই তো দল থেকে বাদ পড়ার পর অবসর নিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: লোকসভায় Insurance Amendment Bill পাশ হওয়া নিয়ে বিতর্ক, দেশজুড়ে ধর্মঘট বিমাকর্মীদের]
আসানসোলের সাংসদের গলায় উঠে এসেছে দলের সঙ্গে দূরত্বের কথাও। সরাসরি বলেছেন, দিলীপ ঘোষের ‘হাফ প্যান্ট’, ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্য তিনি সমর্থন করেননি। নিন্দা করেছেন ‘জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি’ মন্তব্যেরও। বাবুলের কথায়, “মঞ্চে যখন পায়েল, শ্রাবন্তী, মিঠুনদারা রয়েছেন তখন এ কথা বলা যায় না। শিল্পীদের এভাবে বলা যায় না। আমার মনে হয়েছে এ ধরনের মন্তব্য দলের প্রভূত ক্ষতি করেছে।” তাঁর মতে “দিলীপ ঘোষের রগড়ে দেব মন্তব্যেও দলের ক্ষতি হয়েছে। আর এ সব কথা প্রকাশ্যে বলার জন্যই তো অপ্রিয় হয়েছি। সেই জন্যই হয়তো মন্ত্রিত্ব গিয়েছে।”
রাজনীতি থেকে অবসর প্রসঙ্গে বাবুল আরও জানান, “দলবিরোধী কথা বলছি না। অনেকে আমাকে উসকানি দিয়েছে। কিন্তু আমি কিছু বলব না। যা বলার দলের নেতৃত্বকে বলেছি। তাঁরা জানেন আমি কেন রাজনীতি ছাড়লাম।” তবে ‘বিজেপি ছাড়ছি’ বলতে নারাজ বাবুল। তাঁর কথায়, “এতদিন অনেক ছেলের সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁদের কথা ভেবেই বিজেপি ছাড়ছি বলব না। তাতে যার যা ভাবার ভাবতে পারেন। আমি কাউকে কিছু বলতে চাই না। কারোর কাছে কিছু ব্যাখ্যা করার নেই।”