বক্তা ভারতীয় শুটিংয়ের অন্যতম চেনা মুখ মেহুলি ঘোষ। ‘সংবাদ প্রতিদিন’ সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, শুনলেন অরিঞ্জয় বোস।
প্রশ্ন: খুব কম বাঙালি আছে, যারা শুটিংকে নিজের কেরিয়ার হিসেবে দেখতে চায়। আপনি সেই অর্থে ব্যতিক্রম। এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছিল?
মেহুলি: অভিনব বিন্দ্রা আমার আইডল। ২০০৮-এর বেজিং অলিম্পিকে যখন অভিনব স্যর সোনা জেতেন, সেই মুহূর্তটা আমি টিভিতে দেখেছিলাম। তখনই জানতে পারলাম, শুটিং বলেও একটা স্পোর্টস আছে। সেই প্রথম শুটিং নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। জানতে পারলাম, কলকাতাতে শুটিং শেখানো হয়। সেটা আমার বাড়ি থেকেও খুব দূরে নয়। ভিতরে ভিতরে শুটিং শেখার ইচ্ছাটা বাড়ছে, অনুভব করতে পারছিলাম। তারপর একদিন বাড়িতে বললাম, শুটিং শিখতে চাই। প্রথমে তো বাড়ির সবাই খুব অবাক হয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য পরিবারের পুরো সাপোর্ট পেয়েছি।
[আরও পড়ুন: RSS কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠনের মতোই! ব্রিটেনে বসে মন্তব্য রাহুলের, তোপ বিজেপির]
প্রশ্ন: বাড়ির তরফ থেকে আপত্তি করেনি?
মেহুলি: প্রথমে তো আপত্তি ছিলই। আসলে শুটিং যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ একটা স্পোর্টস। আমাদের জন্য খুব ব্যয়বহুল ব্যাপার ছিল। তাছাড়া শুটিং শিখতে গেলে কীভাবে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে কেউ শুটিং করছে, তা চট করে দেখা যায় না। ফলে পরিবারকে রাজি করাতে একবছরের মতো সময় লেগেছে। তবে শুরু থেকেই শুটিংয়ে আমি ভাল পারফরম্যান্স করছিলাম। সেটা দেখার পর পরিবারও আমাকে সাপোর্ট করতে লাগল।
প্রশ্ন: ক্রিকেট কিংবা ফুটবলের তুলনায় ভারতীয় জনমানসে শুটিং নিয়ে আগ্রহ কম। ক্রিকেট-ফুটবলে মিডিয়া কভারেজ যতটা থাকে অ্যাথলেটিক্সে ততটা থাকে না। এই খামতিগুলো কি আপনাকে ভাবায়?
মেহুলি: অবশ্যই ব্যাপারটা চোখে লাগে। ভারতে খেলাধুলোর জগতে এই বিভাজনটা প্রচণ্ডরকম ভাবে আছে। ভারতে ক্রিকেট নিয়ে একটা আলাদা উন্মাদনা আছে। সেটাও মূলত ছেলেদের ক্রিকেটকে ঘিরে। তবে এখন মেয়েদের আইপিএলও শুরু হয়েছে। মহিলা ক্রিকেটাররাও এখন যথেষ্ট সাপোর্ট পাচ্ছে। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে ফারাকটা কমাতে হবে।