সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে (Extramarital affair) জড়িত রয়েছেন মানেই তিনি ভাল মা নন, এটা কখনওই বলা যায় না। এবং সেই কারণে তাঁকে তাঁর সন্তানের দায়িত্ব দিতে অস্বীকারও করা যায় না। ৪ বছরের এক শিশুকন্যাকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক তরুণী। সেই মামলাতেই এমন মন্তব্য করল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট (Punjab and Haryana High Court)।
ওই মহিলার স্বামী অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়াল জানিয়ে দেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সব সময়ই মহিলাদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজেই যেভাবে মহিলাদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, সেদিক বিচার করলে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন হয়। এমনকী, আমরা যদি ধরেও নিই কোনও মহিলা পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তাহলেও তার মানে এটা দাঁড়ায় না যে, তিনি ভাল মা হতে পারবেন না। কিংবা তাঁর সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না তিনি।’’
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি, প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সংকোচন জিডিপিতে]
প্রসঙ্গত, আদালতের কাছে দ্বারস্থ ওই মহিলার ক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ তিনি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বাসিন্দা ও স্থায়ী রোজগেরে। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছ থেকেও সাহায্য পান তিনি। তাঁর স্বামী একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি ভারতে বাস করেন। এদিনের রায়ে আদালত একক মাতৃত্বের পক্ষেও সায় দিয়েছে। বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়ালের মতে, আদালত যে কোনও দম্পতির ক্ষেত্রেই পুনর্মিলনের পক্ষে সায় দেয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোনও সন্তান বাবা কিংবা মা’র কাছে বড় হলে তার বেড়ে ওঠায় কোনও সমস্যা থেকে যায়।
তিনি বলেন, ‘‘আধুনিক সময়ে দেখা যায়, একক অভিভাবকের কাছে বড় হওয়া সন্তানেরা অনেক সময়ই দায়িত্ববান প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বেড়ে উঠে নানা ক্ষেত্রে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।’’