সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে জেহাদের জাল! সন্ত্রাসীদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে 'অপারেশন প্রঘাত' শুরু অসম পুলিশের। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের বিশেষ অভিযানে কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম থেকে গ্রেপ্তার আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) ৮ জেহাদি। এই জঙ্গি সংগঠনটি আল কায়দার ছায়া সংগঠন হিসাবেই পরিচিত। পাশাপাশি এদের যোগ রয়েছে বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি), হিজবুত তাহারির মতো জেহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে। ধৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন বই, উস্কানিমূলক নথিপত্র-সহ একাধিক মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশে ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে জেহাদি শক্তি। যাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গিরা হাত মেলাচ্ছে বলে খবর। ওপার বাংলায় বসেই ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর ছক কষা হচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মারফত এমনই তথ্য পেয়ে অভিযানে নামে অসম এসটিএফ। দেশের মোট ৮টি রাজ্যে শুরু হয় অপারেশন প্রঘাত। জানা গিয়েছে, গত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ধরা পরে এবিটির ৮ জঙ্গি। এদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় অসম থেকেই।
অসম পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এমডি সাদ রাদি ওরফে মহম্মদ শাব শেখ বাংলাদেশের নাগরিক। তাকে পাকড়াও করা হয় কেরল থেকে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে মহম্মদ আবাস ও মিনারুল শেখ নামে দুজন গ্রেপ্তার হয়। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ও একটি পেন ড্রাইভ উদ্ধার হয়। এনিয়ে অসম এসটিএফ বিবৃতি দিয়ে জানায়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জেহাদের বিষ ছড়াতে ওই বাংলাদেশি জঙ্গিকে গত নভেম্বর মাসেই পাঠানো হয়েছিল। এই জেহাদিদের লক্ষ্য পৃথক স্লিপার সেল তৈরি করা। কয়েকদিন আগেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর এসেছিল,মহম্মদ ফারহান ইসরাকের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজ্যে মডিউল তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এই ইসরাক আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানির খুব কাছের সহযোগী। প্রসঙ্গত, পরিবর্তনের বাংলাদেশে সম্প্রতি এই রহমানিকেই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, এবিটিয়ের প্রধানের নির্দেশেই এই স্লিপার সেল তৈরির চলছে।