সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি কর্মীদের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ রায়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যদি কোনও সংস্থা কর্মীদের পদোন্নতির দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে না ভাবে, তাহলে সেটা মৌলিক অধিকার খর্ব করার শামিল। পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। কর্মক্ষমতা বা যোগ্যতা থাকলেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পদোন্নতির সুযোগ দিতে হবে কর্মীদের! সংস্থাকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহশানুদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, পদোন্নতির অধিকারকে আদালত যে শুধু কর্মীদের বিধিবদ্ধ অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেয় তাই নয়, একই সঙ্গে কর্মীদের মৌলিক অধিকার হিসাবেও স্বীকৃতি দেয়। তবে এটাও ঠিক এমনিতে মৌলিক অধিকারের মধ্যে পদোন্নতির অধিকারকে ধরা যায় না।
[আরও পড়ুন: সংসদে দাঁড়িয়ে ‘স্টুপিড’ কটাক্ষ, কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করে বিতর্কে অভিজিৎ]
ধর্মদেও দাস নামের বিহার ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের এক কর্মী অভিযোগ করেছিলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে আন্ডার সেক্রেটারি পদে রয়েছেন তিনি। কিন্তু সংস্থা তাঁর প্রমোশনের দাবি খতিয়ে দেখছে না। এই মর্মে পাটনা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পাটনা হাই কোর্ট বিহার ইলেকট্রিসিটি বোর্ডকে নির্দেশ দেয় ওই কর্মীর পদোন্নতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অন্তর্ভূক্ত করা হোক’, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি সুকান্তর]
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিল, শুধু একটি পদে নির্দিষ্ট সময় কাজ করাটাই পদোন্নতির যোগ্যতা মান হতে পারে না। তবে কোনও কর্মী যদি যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেন, তাহলে পদোন্নতি তাঁর মৌলিক অধিকার। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাউকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করাটা মৌলিক অধিকার খর্ব করা।