সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কমিটির বাকি তিন সদস্যকেও সরিয়ে দিন। নয়তো বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমনই আরজি জানাল কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। উল্লেখ্য, কৃষি আইন নিয়ে গঠিত কমিটির সদস্যদের নিরপেক্ষতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কৃষকরা। জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। এবার সেই সদস্যদের সরিয়ে দেওয়ার আরজি জানালেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের আইনজীবীর দাবি, কমিটিতে এই তিন সদস্য থাকলে বিচার প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হতে পারে। কারণ, এঁরা তিনজনই এই আইনকে সমর্থন করেছেন। ফলে তাঁরা কীভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কৃষকদের কথা শুনবেন? তাই কমিটি থেকে তিন সদস্যকে সরিয়ে দেওয়ার আরজি জানানো হল।
[আরও পড়ুন: দেশীয় স্টার্ট-আপগুলোকে সাহায্য করতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা মোদির]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে এক সদস্য কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি আইনগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যে কমিটির সদস্যরা হলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ভুপিন্দর সিং মান, শ্বেতকারী সংঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত, এবং আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি বিশেষজ্ঞ প্রমোদ কুমার যোশী। কৃষকদের সংঠনগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যের কমিটিকে কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই সরকার ঘনিষ্ঠ। এবং কেন্দ্রের এই নয়া আইনের সমর্থক।
এদিকে ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড আটকাতে আদালতের দ্বারস্থ আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই দোহাই দিয়ে এই ব়্যালির উপর স্থগিতাদেশ জারির আরজি জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রকের নেতৃত্বাধীন পুলিশ। এই আবেদন বাতিলের দাবিতে পালটা পিটিশান ফাইল করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। আগামী ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনের শুনানি।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা টিকার তথ্য লুকোবেন না’, নরওয়ের ঘটনা টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি কংগ্রেস নেতার]
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারির আগেই কৃষকদের শক্তি আরও বাড়ছে। এবার তাঁদের আন্দোলনে শামিল হতে ওড়িশা থেকে একটি বিশেষ প্রতিনিধিদল দশটি বাস নিয়ে রওনা দিয়েছে। প্রতিনিধিদলের মধ্যে রয়েছেন একাধিক কৃষক সংগঠনের লোকজন। সেই দলে চিকিৎসক, আইনজীবী থেকে শুরু করে সমজাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এখান থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে তাঁরা দিল্লি পৌঁছবেন প্রায় দশ হাজার লোককে সঙ্গে নিয়ে। আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে গিয়ে তাঁরা দাঁড়াবেন। ফলে কৃষক আন্দোলন যে আরও জোরদার হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।