shono
Advertisement

ধানবীজের সুগন্ধ বজায় রাখতে জৈব সার ব্যবহারে জোর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের

দ্বিগুণ হারে ধানবীজ সংরক্ষণে উদ্যোগী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ধান গবেষণা বিভাগ৷ The post ধানবীজের সুগন্ধ বজায় রাখতে জৈব সার ব্যবহারে জোর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:40 PM Jul 04, 2019Updated: 02:40 PM Jul 04, 2019

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ট্র্যাডিশনাল ও সুগন্ধী ধানবীজ সংরক্ষণের হার দ্বিগুণ করা হচ্ছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ জার্ম প্লাজম পদ্ধতিতে
বর্তমানে ৭০টি প্রজাতির ট্র্যাডিশনাল ও সুগন্ধী ধানবীজ সংরক্ষণ করা হয়। তা বাড়িয়ে ১৫০ প্রজাতির বীজ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ধান গবেষণা ও বীজ সম্প্রসারণ-খামার বিভাগ। পাশাপাশি, চাষিদের জৈব সার ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদের প্রশিক্ষণ দিতে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে চাষিদের প্রশিক্ষণের জন্য আবাসিক হস্টেল তৈরির পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের নিয়ে চাষিদের কর্মশালার আয়োজন করতে অডিটোরিয়াম, আধুনিক গবেষণাগার ও উন্নত মানের গোডাউন তৈরির ব্যবস্থা থাকবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাদা মাছির হামলায় কুপোকাৎ, নারকেল গাছ চাষের উদ্যোগ কৃষি দপ্তরের]

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃষি খামারের অধিকর্তা তথা অধ্যাপক জয়প্রকাশ কেশরী জানান, এই বিষয়ে প্রোজেক্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের কৃষি দপ্তরের অতীতেও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। এবারও করবে বলেই আশা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। জয়প্রকাশবাবু জানান, বর্তমানে এই খামারে ধানের জার্ম প্লাজম সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। বর্তমানে এখানে ৭০ প্রজাতির ট্র্যাডিশনাল ধানবীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। পরিকাঠামোগত উন্নত করা গেলে আগামী দিনে ১৫০ প্রজাতির ট্র্যাডিশনাল ধানবীজ উৎপাদন সম্ভব হবে। গোবিন্দভোগ-সহ বিভিন্ন প্রজাতির ধানবীজের সম্ভার রয়েছে এখানে। এই ট্র্যাডিশনাল ও সুগন্ধী ধান জৈব সার ও জৈব রাসায়নিক ব্যবহার করে উৎপাদন করতে হয়। সেখানে কোনওরকম রাসায়নিক প্রয়োগ করা যায় না। চাষিরা এইসব ধান উৎপাদন করলে ফলন একটু কম হলেও, বাজারে চালের ভাল দাম পাবেন। এই সব চাল বাজারে ন্যূনতম ১০০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন। আবার জৈব পদ্ধতিতে চাষ হওয়ায় বিদেশে তা পাঠানোরও সুযোগ মিলবে।এই সব প্রজাতির ধানে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক প্রয়োগ করলে ধানের সুগন্ধ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাসায়নিক প্রয়োগ করলে চালের মাধ্যমে মানব শরীরেও বিষ প্রবেশের আশঙ্কা থাকে৷ আবার বাজারে দামও কম মেলে। এই সব ধানে তাই চাষিদের এইসব ধান চাষে উৎসাহিত করা, তাঁদের প্রশিক্ষিত করা ও কর্মশালার মাধ্যমে জৈব পদ্ধতিতে এই প্রজাতির ধান চাষ নিয়ে বোঝাতে পারলে একদিকে যেমন চাষিরা লাভবান হবেন। তেমনই মানুষও ক্ষতিকারক রাসায়নিক থেকে মুক্তি পাবে।

[আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে বিকল্প ধান চাষেই জোর কৃষি দপ্তরের]

জয়প্রকাশবাবু জানান, বর্তমানে কৃষি দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে এই খামার থেকে চাষিদের কাছে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। চাষিদের যাতে ট্র্যাডিশনাল ধান বা সুগন্ধী ধান চাষে উৎসাহিত হন, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাছে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেই লক্ষ্যেই।

The post ধানবীজের সুগন্ধ বজায় রাখতে জৈব সার ব্যবহারে জোর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement