shono
Advertisement

বাড়ির টবেই ফলান মিশরীয় ডুমুর, জেনে নিন পদ্ধতি

মিশরীয় ডুমুরকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাবেন কীভাবে?
Posted: 03:55 PM Dec 13, 2023Updated: 03:55 PM Dec 13, 2023

মিশরীয় ডুমুর ফল স্বাদে অতুলনীয়। এর নানা রকম পুষ্টিগুণও বিদ্যমান। ডুমুর একটি সম্ভাবনাময় ফসল। যা চাষ করে দেশের বেকারত্ব দূর এবং রপ্তানি করে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। লিখেছেন বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তন্ময় মণ্ডল ও অধ্যাপক ফটিক কুমার বাউড়ি।

Advertisement

ডুমুর গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus carica। এটি Moraceae পরিবারের Ficus গণের একটি উদ্ভিদ। বর্তমানে এটি বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত লাভজনকভাবে চাষ করা হচ্ছে। ফাইকাস গণভুক্ত প্রায় ৮০০ প্রজাতির মধ্যে মিশরীয় ডুমুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এই ফলের আকার কাকডুমুর-এর চাইতে বড়; এটি একটি জনপ্রিয় মিষ্টি ও রসালো ফল। হিন্দি, মারাঠি, ফার্সি ও উর্দু ভাষায় এই ফলকে আঞ্জির বলা হয়। ডুমুরগুলো বাস্তবে আসল ফলের বদলে ওলটানো ফুল, সুতরাং, কোনও ডুমুর গাছে লোকে আদপেই ফুল দেখতে পায় না। ডুমুর গাছের বৃদ্ধি খুব সহজ এবং একবার রোপণ করলে সেগুলো প্রচণ্ড দ্রুত চারপাশের গাছপালাকে চেপে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্যবহার
মিশরীয় ডুমুর ফলের উপরের আবরণ খুব পাতলা ও নরম। খেতে খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। এটি খুব রসালো ফল ও অনেক বড় হয়। এটি দু’ভাবে খাওয়া যায়। পাকা ফল আবরণসহ সরাসরি খাওয়া যায়। অন্যটি হল রোদে শুকিয়ে কাঁচের জারে রেখে সারা বছর খাওয়া যায়। তাছাড়াও পাকা ডুমুর দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। পাকা ডুমুর শুকিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবারের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সাধারণত কাঁচা ডুমুরের ফলকে সবজি হিসেবেও খাওয়া হয় গ্রামের দিকে। কারণ এই ফল দিয়ে দারুণ তরকারি বানানো যায়। তাছাড়া স্যালাডের মাধ্যমেও ডুমুর খাওয়া যেতে পারে। রান্নাঘর এবং রেফ্রিজারেটরে ডুমুর ভালোভাবে জায়গা করে নিয়েছে। বস্তুত এই ফলের মিষ্টি মুচমুচেভাব যেকোনও মিষ্টান্ন দ্রব্যে আপনি শামিল করতে পারেন, এর পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্য উপযোগিতা এই ফলে আরও অনেক কিছু যোগ করে।
ডুমুর ফলের পুষ্টিগুণ
ডুমুর ফল খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর এই ফল স্বাদে অতুলনীয় তো বটেই, সেই সঙ্গে এর নানা রকম পুষ্টিগুণও বিদ্যমান। ফলে স্বাস্থ্যের জন্যও এই ফল খুবই উপকারি। তাজা ডুমুরের প্রতি ১০০ গ্রামে পুষ্টিমান: ক্যালোরি- ৩১০ (৭৪ কিলোক্যালরি), শর্করা-১৯ গ্রাম, সুগার-১৬ গ্রাম, খাদ্য ফাইবার -৩ গ্রাম, ফ্যাট-০.৩ গ্রাম, প্রোটিন-০.৮ গ্রাম। শুকনো ডুমুরের প্রতি ১০০ গ্রামে পুষ্টিমান: ক্যালরি- ১,০৪১ (২৪৯ কিলোক্যালরি), শর্করা-৬৪ গ্রাম, সুগার- ৪৮ গ্রাম, খাদ্য ফাইবার-১০ গ্রাম। ফ্যাট-১ গ্রাম, প্রোটিন-৩ গ্রাম। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ছাড়াও প্রায় সব রকমের জরুরি নিউট্রিশনস যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম ইত্যাদি আছে। ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাবজনিত রোগে এটি বেশ কার্যকরী। কার্বোহাইড্রেট, সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডুমুর।

[আরও পড়ুন: ১০০ টাকায় এক কেজি! দেদার বিকোচ্ছে মালদহের বিখ্যাত নবাবি বেগুন]

ডুমুরের স্বাস্থ্য উপযোগিতা
পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডুমুরের অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। সেগুলি হল-
১)কোষ্ঠবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়: ডুমুরের মধ্যে একটা ভাল পরিমাণ খাদ্যগত আঁশ (তন্তু) থাকে। এই আঁশ আপনার অন্ত্রগুলিতে জমা খাবারে মেশে যা কোষ্ঠবদ্ধতার প্রধান কারণগুলির অন্যতম।
২)ওজন কমাতে সাহায্য করে: ডুমুর হচ্ছে আঁশ-সমৃদ্ধ কম-ক্যালোরিযুক্ত ফল যা আপনার মোট ক্যালরির হিসাব বৃদ্ধি না করে আপনাকে একটা অধিকতর সময় জুড়ে পেট ভরার অনুভূতি দেয়।
৩)চোখের স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ রাখে: ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং চোখের দৃষ্টি হারানো প্রতিরোধ করার জন্য দায়ী যা একটা পরিপোষক উপাদান।
৪) রাতে ভালো ঘুম হতে দেয়: গবেষণার প্রমাণ নির্দেশ করে যে ডুমুর শরীরে মেলাটোনিন মোচন করতে সাহায্য করে, যা আপনার নিদ্রা-জাগরণ চক্রগুলি নিয়মিত করে এবং অনিদ্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫) লিভারের (যকৃৎ) ক্রিয়া উন্নত করে: ডুমুরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং পুষ্টিকর যৌগগুলির একটা ভাণ্ডার থাকে। চিকিৎসার প্রাক পর্যায়ে গবেষণাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে এই যৌগগুলি, যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং যকৃতের ক্ষতিকারক পদার্থ নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৬) রক্তাল্পতা ভুক্তদের পক্ষে উপযোগী: ডুমুর আয়রন বা লোহার একটা ভাল উৎস। ডুমুরের নিয়মিত ব্যবহার আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত রক্তকোষগুলির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৭) ত্বকের পক্ষে উপযোগী: ডুমুর আপনার ত্বকের পক্ষে পুষ্টিবিধান এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলির একটা উৎকৃষ্ট উৎস যোগায়।
৮) চুল পড়া প্রতিরোধ করে: ঠিক আপনার ত্বকের মত, ডুমুর আপনার মাথার খুলির ত্বকেরও পুষ্টিবিধান করে।
৯) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তচাপে ডুমুর ব্যবহারের ইতিবাচক প্রভাব গবেষণাগুলি দেখিয়েছে।
উৎপাদন এলাকা
অনেক দেশে এর চাষ হয়, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। ডুমুর ফলটির নামের সঙ্গে সবাই হয়তো পরিচিত নন। মরুপ্রদেশে এই ফলের চাষ খুব ভাল পরিমাণে হলেও, বর্তমানে ভারতেও এই বিশেষ প্রজাতির ফলের চাষাবাদ বেশ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। কৃষকরা এই ডুমুর জাতীয় ফলের চাষ নিয়ে বেশ আশাবাদী।
ডুমুর গাছের আকৃতি
ডুমুর গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠতে পারে। তবে এই গাছের চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করার মতো। এই কারণে ডুমুর গাছের দৈর্ঘ্য বেশি হয় না, বরং প্রস্থে এদের বাড়বাড়ন্ত থাকে। ডুমুর গাছগুলো ঝোপালো আকৃতির হয়। ডুমুর গাছের কান্ড খুবই নমনীয়। সাধারণত ডুমুর গাছের দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতাগুলি চেরা এবং ফিকাস-এর বিভিন্ন বৈচিত্র্যের মধ্যে পার্থক্য করার মাপকাঠির মধ্যে অন্যতম। প্রতিটি পাতার গোড়ায় গোড়ায় ফল জন্মে থাকে। এই গাছে কম করে ৭০ থেকে ৯০টি ফল ধরে। জমিতে চাষ করা ছাড়াও টবেও অনেকে ডুমুর ফলের চাষ করেন। ডুমুর গাছ প্রায় ৩৪-৩৫ বছর পর্যন্ত নিজের ফলন ধরে রাখে। শতবর্ষ পর্যন্ত বাঁচতে পারা এই গাছে তিন মাসের ভিতরেই
ফল ফলে।
বংশ বিস্তার ও চারা মূল্য
এই গাছগুলো যেমন বৃদ্ধি কম হয়, তেমনি এর কাণ্ড খুব নরম প্রকৃতির হয়। তাই ডুমুরের যেমন কাটিং করে বংশবিস্তার করা যায় তেমনি বীজ থেকেও চারা উৎপাদন করা যায়। ডুমুরের বংশ বিস্তারের অনেক পদ্ধতি থাকলেও সবচেয়ে সহজ ও ভাল পদ্ধতি হল কাটিং। কাটিং পদ্ধতিতে বংশ বিস্তারে শতকরা প্রায় ৯৮% চারাই টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাটিংয়ের এক মাসের মধ্যেই চারা মূল টবে লাগানোর উপযুক্ত হয়। টবে কাটিং লাগানোর ৪-৫ মাসের মধ্যেই ডুমুর ফল পাওয়া যায়। দুই মাস বয়সি চারার মূল্য ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এখন বিভিন্ন নার্সারি ও ই-কমার্স সংস্থা থেকে এই চারা পাওয়া যায়।
টবে ডুমুর ফলের চাষ পদ্ধতি
খোলা মাঠ ছাড়াও টবের মধ্যে ছাদ বাগানে ডুমুর চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে। ছাদে মিষ্টি ডুমুরের চারা লাগানোর জন্য ১২-২০ ইঞ্চি মাটির টব বা কালার ড্রাম সংগ্রহ করতে হবে। ড্রামের তলায় ৩-৫টি ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে। টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে সব সময় রোদ থাকে। এবার ২ ভাগ বেলে দো-আঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৪০ গ্রাম টিএসপি সার, ২০-৪০ গ্রাম পটাশ সার এবং ২০০ গ্রাম হাড়ের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে জল দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন। এরপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন একইভাবে রেখে দিতে হবে। মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সবল-সুস্থ মিশরীয় মিষ্টি ডুমুরের কাটিং চারা টব বা ড্রামে রোপণ করতে হবে। চারা গাছটিকে সোজা করে লাগাতে হবে। সেই সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশি জল না ঢুকতে পারে। একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর প্রথমদিকে জল কম দিতে হবে। আস্তে আস্তে জল বাড়াতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় জল জমে না থাকে, আবার বেশি শুকিয়েও না যায়।
পরিচর্যা
অন্যান্য ফল গাছের তুলনায় ডুমুর গাছে খুব দ্রুত ফল ধরে। একটি ডুমুরের কাটিং চারা লাগানোর ৪-৫ মাস পর থেকেই ফল দিতে শুরু করে। তাই গাছ লাগানোর ২-৩ মাস পর থেকেই টবের গাছকে নিয়মিত অল্প অল্প খাবার দেওয়া প্রয়োজন। ডুমুর ফলের গাছ চাষে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন পড়ে না। জৈব সারের ব্যবহারে জমিতে ও টবে এই গাছ লাগিয়ে ডুমুর ফলানো খুবই সহজ। সে অনুযায়ী ১০-১৫ দিন পর পর সরিষার খোলে পচা জল দিতে হবে। সরিষার খোল গাছে দেওয়ার কমপক্ষে ১০ দিন আগে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেই পচা খোলের জল পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। ১ বছর পর টবের আংশিক মাটি পরিবর্তন করে দিতে হবে। শীতকাল পড়ার আগে অথবা বর্ষাকালের শেষের পর্যায়ে টবের মাটি পরিবর্তন করা উচিত। ২ ইঞ্চি প্রস্থে এবং ৬ ইঞ্চি গভীরে শিকরসহ মাটি ফেলে দিয়ে নতুন সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে তা ভরে দিতে হবে। ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর টব বা ড্রামের মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিতে হবে।
ফলন
প্রতিটি গাছ থেকে প্রথম বছরে এক কেজি, দ্বিতীয় বছরে ৭ থেকে ১১ কেজি, তৃতীয় বছরে ২৫ কেজি পর্যন্ত ফল ধরে। এভাবে ক্রমবর্ধিত হারে একটানা ৩৪ বছর পর্যন্ত ফল দিতে থাকে। গাছটির আয়ু হল প্রায় ১০০ বছর। তিন মাসের মধ্যেই শতভাগ ফলন আসে। আগা থেকেগোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
পোকামাকড় ও রোগ নিয়ন্ত্রণ:
নেমাটড (Nematodes) পোকা ডুমুর গাছের ব্যাপক ক্ষতি করে। Arthropod পোকাও ডুমুর গাছের পক্ষে শুভ নয়। ফল ভেঙ্গে যাওয়ার মতো রোগ (fruit splitting) গরমকালে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে হতে পারে। Alternaria, Aspergillus, Botrytis, এবং Penicillium fungi-এর মতো রোগ থেকে গাছকে বাঁচাতে গেলে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা উচিত।
ডুমুরের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা
ডুমুর একটি সম্ভাবনাময় ফসল। যা চাষ করে দেশের বেকারত্ব দূর এবং রফতানি করে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এখানকার গাছে প্রতিটি ডুমুর ফল ওজনে ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ডুমুরের প্রতি কেজির মূল্য এক হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মার্কেট কমপ্লেক্স এবং প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এটির খুব চাহিদা রয়েছে। ফলের পাশাপাশি শৌখিন চাষিরা চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় টবসহ ফল ধরা চারা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদেশ থেকে ডুমুরের আমদানি নির্ভরতা কমে আসার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া বাজারেও এই ফলের একটি বড় ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্সোটিক বা গৌণ ফল হিসেবে স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুটস কিংবা অ্যাভোকাডোর চেয়ে ডুমুর ফলের চাহিদা বেশি।ডুমুর চাষে আজকাল অনেক চাষি ভাইই লাভের মুখ দেখছেন।

এই চাষের পদ্ধতি সহজ হওয়ায়, ব্যয়ের পরিমাণও কম। জমির বিবেচনায় মূল্যায়ন না করে ছোট, মাঝারি ও মধ্যমমানের পাহাড়ি এলাকা এবং বাড়ির উঠোনে ছোট ছোট ফলের বাণিজ্যিক ক্ষেত্র গড়ে তোলার এক দুর্দান্ত সম্ভাবনা রয়েছে।বর্তমানে মানুষের কাছে ডুমুর ওষধি ফল হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাজারেও এই ফলের চাহিদা তুঙ্গে। তাই যারা ডুমুর চাষ করবেন কি করবেন না, তা বুঝে উঠে পারছেন না, তাঁদের জন্য পরামর্শ হল, নির্ভয়ে ডুমুর চাষ করুন এবং অতি সহজেই লাভবান হয়ে উঠুন।

[আরও পড়ুন: পোকার হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন বেগুন? জেনে নিন পদ্ধতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement