shono
Advertisement

বিকল্প পদ্ধতিতে আম চাষে হতে পারে কোটিপতি, জেনে নিন পদ্ধতি

অন্যান্য ফলের তুলনায় আম বেশি সম্ভাবনাময়।
Posted: 07:26 PM Mar 06, 2024Updated: 07:26 PM Mar 06, 2024

আমাদের দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যান্য ফলের তুলনায় আম বেশি সম্ভাবনাময়। প্রতি একক জমিতে আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নত করা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। প্রচলিত আম চাষ পদ্ধতির বাইরে গিয়ে উৎপাদন ও গুণমান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পড়ুন শেষ পর্ব।

Advertisement

সাধারণ উৎপাদনের সময় থেকে কিছুটা হেরফের করে আমের উৎপাদনকে আরও লাভদায়ক করা যায়। গাছের আকৃতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রতি বছর আমের ফলন সুনিশ্চিত করতে বৃদ্ধি নিরোধক যৌগ প্রয়োগ করতে হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে, ফলনের নিয়মিতকরণ, উৎপন্ন ফলের গুণমানের উন্নয়নের সাথে সাথে ফল ধরা ও পাড়ার সময়কে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বর্তমানে আম উৎপাদনক্ষম বাগানগুলোতে গাছের উচ্চতা অত্যধিক বেশি।

এছাড়া গাছ এবং ডালপালা ঘন হওয়ায় আলো বাতাস প্রবেশ করে না। তার দরুণ ফলের গুণগত মান ভালো হয় না এবং রোগ পোকার সংক্রমণ বেশি হয়। এই সমস্ত বাগানে গাছের উপরিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং আড়াআড়ি মাথাগুলোকে ছেঁটে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ করানো যেতে পারে। এতে উচ্চতা কিছুটা কমিয়ে গাছ ও ফলের সহজ পরিচর্যা করা যায়। রপ্তানির জন্য বোঁটা-সহ আম পাড়া আবশ্যিক। গাছের উচ্চতা কম না হলে, তা করা সম্ভব নয়।

ডাল ছাঁটার মাধ্যমে পুরনো ও অনুৎপাদী বাগানের পুনরুজ্জীবন
বাংলার পুরনো প্রায় সমস্ত বাগান ঘন ও কম ফলদায়ী। এই ধরনের বাগানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। রোগ পোকার আক্রমণও বেশি হয়।
এসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে?
১) ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে গাছের গোড়া থেকে ৩.৫ মিটার উপরে এবং কাণ্ড থেকে ২-৩ মিটার বিস্তৃতি পর্যন্ত ৩-৪টি প্রধান ডাল এমনভাবে ছাঁটতে হবে যেন পরবর্তী সময়ে গাছ ছাতার মতো আকৃতি ধারণ করে। উক্ত ৩-৪ টি ডাল ছাড়া বাকি সমস্ত ডালপালা পুরোপুরি কেটে ফেলতে হবে।
২) জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১২-১৫ দিন অন্তর ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০-২৫ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: খেতে উড়ছে ড্রোন! কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে খুশি কালনার কৃষকরা]

৩) সুসংহত উপায়ে রোগ পোকা দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে আমের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, কাটা ডালপালার মুখে আক্রমণ করে।
৪) দ্বিতীয় বছরে সেপ্টেম্বর মাসে বৃদ্ধি নিরোধক যৌগ প্রয়োগ করতে হবে।
৫) তৃতীয় বছরে পুনরুজ্জীবিত বাগানে পুরনোর তুলনায় ৫ গুণ বেশি ফলন পাওয়া যাবে।
৬) এর সঙ্গে গাছে নিয়মিত ও পরিমিত জল ও সার প্রয়োগ, আগাছা দমন এবং রোগপোকা নিয়ন্ত্রণ নিয়মিত ফলন ও গুণমান বৃদ্ধির জন্য আবশ্যিক।
(অধ্যাপক মোহম্মদ আবু হাসানের পরামর্শে কল্যাণীর অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট ইন প্ল্যান্ট প্রোটেকশন কর্তৃক প্রকাশিত)

[আরও পড়ুন: বাংলায় কৃষি বিপ্লব, এবার আলিপুরদুয়ারে শুরু আলু বীজ উৎপাদন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement