বিক্রম রায়, কোচবিহার: জেলাজুড়ে জ্যোতি আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়াতেই ?যেন মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। কোচবিহার জেলায় মোট ২২টি হিমঘর রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তবে জেলায় প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছিল এবং প্রতি হেক্টরে ৩৭ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বিপুল পরিমাণের এই আলু হিমঘরে রাখা যাবেনা তা এক প্রকার নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। স্বাভাবিকভাবে আলুর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
কোচবিহার জেলা কৃষি আধিকারিক অসিতবরণ মণ্ডল জানিয়েছেন, "জেলায় আলুর ফলন এবার ভালো হয়েছে। তবে কোচবিহার জেলায় ২২টি হিমঘরে যাতে প্রকৃত কৃষকদের আলু সংরক্ষণ করতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে আলুর কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি আলু তোলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।"
কোচবিহার জেলায় যে সমস্ত ফসলের বেশি উৎপাদন হয় তার মধ্যে জ্যোতি আলু অন্যতম। স্বাভাবিকভাবে আলু ভালো উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা খুশি রয়েছেন। তবে বুধবার থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে যে সমস্ত আলু এখনও তোলার পর কৃষি জমিতে পড়ে রয়েছে সেগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন কি বৃষ্টি বেশি হলে চাষ জমিতে জল আটকে পড়লে এই সমস্যা আরও বাড়বে এবং চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেই তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।