রাজা দাস, বালুরঘাট: ধান, গম, পাট বা সরষের মতো গতানুগতিক চাষের বাইরে গিয়ে জেলার কৃষকদের ভুট্টা চাষে উৎসাহ দিচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষিদপ্তর। বিজ্ঞানসম্মতভাবে জমির মান ধরে রাখার পাশাপাশি উপার্জনের বিকল্প দিশা দেখানোই এই চাষের উদ্দেশ্য। সরাসরি মাঠে নেমে কৃষকদের সহযোগিতা করছে কৃষিদপ্তর।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অন্তত ১ লক্ষ ৯০ হাজার হেক্টর আমন এবং ৮০ হাজার হেক্টরের মতো। জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। ২২হাজার হেক্টর জমিতে আনাজ চাষ চলে। সরিষা চাষ হয় অন্তত ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে। গম হাজার হেক্টর এবং পাট চাষ হয় অন্তত ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর মুসুর ডাল, আখ, সূর্যমুখী চাষও হয় বেশ কিছু এলাকায়। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে জেলায় থাকা ৩ লক্ষ কৃষক। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ চাষিকে আপাতত ভুট্টা চাষে আগ্রহী করে তুলতে লক্ষ্য নিয়েছে কৃষি
দপ্তর। প্রযুক্তিগত সাহায্য এবং পরামর্শ দিয়ে এখন কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে এই দপ্তর।
গঙ্গারামপুর ব্লকের নাড়োই, ফুলবাড়ি, নরসুন্দরপুর ছাড়াও বালুরঘাটের কিছু এলাকায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের মাঠে নামানো গিয়েছে। এ মূহূর্তে অন্তত ৫ হাজার হেক্টর জমিতে চলছে ভুট্টা চাষ। উপকারিতা তুলে ধরে বেশি বেশি জমিতে বিকল্প এই চাষ করানোই উদ্দেশ্য কৃষিদপ্তরের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, ডিএসআর বা সংরক্ষণ প্রযুক্তিতে শূন্যকর্ষে ধানের মত ভুট্টা চাষ হচ্ছে। সিমিক ইন্ডিয়া প্রকল্পে যন্ত্র মিলেছে। সেই যন্ত্র দিয়ে চাষিদের জমিতে ভুট্টা বীজ রোপন করে দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উপ-কৃষি অধিকর্তা প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় (প্রশাসক) জানান, চাষিদের পেছনে লেগে থেকে এই চাষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। গতানুগতিক চাষের বাইরে গিয়ে সায়েন্টিফিক কাল্টিভেশান অর্থাৎ বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষবাস। যন্ত্র ও প্রযুক্তির সহায়তায় পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত এই মরশুমে সরাসরি মাঠে নেমে কাজ করছেন তাঁরা।
