স্টাফ রিপোর্টার: জলাশয়ের উপরে উড়ছে ড্রোন। রেকর্ড করছে মাছের চারা সুস্থ কি না। কৃষককে বলে দিচ্ছে, বৃষ্টি হবে কি না। এবার বাংলার কৃষিকাজ-মাছ চাষেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। কৃষকদের জন্য 'মাটির কথা' অনলাইন পোর্টাল খুলেছে রাজ্য সরকার। সে পোর্টালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে বাংলার চাষিদের। কোন এলাকায়, কোন মরশুমে, কী ধরনের চাষ করা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তা জানিয়ে দিচ্ছে কৃষকদের। শুধু তাই নয়, কোনও ফসলে পোকা লাগলে তার ছবি তুলে পোর্টালে আপলোড করলেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে দেবে, কোন ওষুধ দিতে হবে গাছে।

শুক্রবার 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' নিয়ে যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করেছিল এশিয়াটিক সোসাইটি এবং পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। সে সেমিনারে এমন তথ্যই দেওয়া হল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বোস ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ডিরেক্টর শিবাজি রাহা ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারি সায়েন্সের উপাচার্য ড. তীর্থকুমার দত্ত, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপকুমার দাস, ওয়েস্টবেঙ্গল বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোককান্তি সান্যাল, ভাইরোলজিস্ট সিদ্ধার্থ জোয়ারদার।
ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিমাল অ্যান্ড ফিশারি সায়েন্সের উপাচার্য ড. তীর্থকুমার দত্ত এদিন জানিয়েছেন, "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্যম্ভাবী। এখন মাছ চাষের জলাশয়ে 'মনিটরিং' করছে ড্রোন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে জানা যাচ্ছে জলাশয়ের জলের গুণমান। মাছের চারার অবস্থা, চিংড়ি জাতীয় মাছের বাজারমূল্য জানতে পারছেন মাছ চাষিরা।"
'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি, সুবিধা এবং অসুবিধা' শীর্ষক এদিনের অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল দুটি আলোচনা সভারও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষতিকর দিক নিয়েও আলোচনা হয় অনুষ্ঠানে। আইটিসি ডিভিশনাল চিফ ইনফরমেশন অফিসার সঞ্জয় সেন জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অতিরিক্ত ব্যবহারে নামতা শিখছে না খুদেরা। জাপানে ছোটরা দোকান থেকে কিছু কিনে ক্যালকুলেটরে হিসাব করে নেয়, কত টাকা ফেরত আসবে। এসবই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক দিক। তবে সে নেতিবাচক দিকটিকেই শুধুমাত্র বড় করে দেখলে হবে না। কারণ আগামী যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। একটা প্রজন্ম ছিল যাঁরা রেডিও প্রথম দেখেছিলেন, তারপরের প্রজন্ম কালার টিভি, তারপর মোবাইল ফোন, জেনারেশন বিটা (২০২৫-এ যাঁদের জন্ম) জন্মই নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গা-সওয়া করে।