শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: মুরগির মাংস, ডিম ও গরুর দুধ উৎপাদনে রাজ্য সেরার তকমা পেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। শুক্রবার জেলার প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও কৃষিদপ্তরের কাজ পর্যালোচনা করতে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। সেই বৈঠকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। জেলাশাসক জানান, "পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর মাংস উৎপাদনে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে, যা সামগ্রিকভাবে রাজ্যের চাহিদা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সেইসঙ্গে ডিম উৎপাদনেও এই জেলা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। এছাড়া হাঁসশাবক উৎপাদনেও রাজ্যের সেরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। দুগ্ধ উৎপাদনে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই জেলা।"
এই কৃতিত্বের জন্য জেলা আধিকারিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জেলাশাসক। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট ২৩৯০টি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। এখানে দৈনিক গড়ে ডিম উৎপাদন হয় ৫৩ লক্ষ ৮৫ হাজার। জেলায় বছরে ডিম উৎপাদন হয় গড়ে ১৯৬ কোটি ৫৫ লক্ষ। প্রতি মাসে ১৩৫.২৯ লক্ষ কেজি পোল্ট্রি-মাংস উৎপাদন হয় জেলায়। এছাড়া হাঁসের ছানা উৎপাদনেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সেরা বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জেলায় ৬.৭৫ লক্ষ ডাকলিং উৎপাদন হয়েছে, যা রাজ্যে সর্বোচ্চ বলে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এই কৃতিত্বে। তাঁর কথায়, "এটা একটা খুবই ভালো খবর। যে কোনও বিষয়ে প্রথম হলে তো ভালোই লাগবে। দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
