সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেনে-বাসে বাদুরঝোলা হয়ে অফিসে দৌড়। কাজের চাপে হাতে সময় কম। তাই অনেক সময় শাড়ি পরা হয় তো সেভাবে হয় না। কিন্তু শাড়ি পরতে কমবেশি সকলেই ভালোবাসেন। যাঁরা শাড়ি মাঝেমধ্যে হলেও পরেন তাঁরা পিওর সিল্ক পছন্দ করেন। আলমারি কমপক্ষে একটা হলেও থাকে পিওর সিল্ক। বাজারে এখন হাজার রকমের পিওর সিল্ক বিক্রি হয়। তার উপর আবার বর্তমানে বাজার কাঁপাচ্ছে সেমি পিওর সিল্ক শাড়ি। অসাধু ব্যবসায়ীরা আবার বেশি দাম নিয়ে নকল পিওর সিল্ক বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে দাম দিয়েও ঠকে যান ক্রেতা। জেনে নিন কোন কোন দিক খতিয়ে দেখে পিওর সিল্ক কেনা উচিত।
আসল পিওর সিল্ক স্পর্শতেই টের পাওয়া সম্ভব। হাত দিলেই দেখবেন অতিরিক্ত মোলায়েম। শাড়ি অত্যন্ত ঠান্ডা হবে বোঝা যাবে তা আসল। সিন্থেটিক শাড়ি অতটা মোলায়েম হবে না। তা কিছুটা খসখসে।
পিওর সিল্ক শাড়ির একটি কোণ জোরে চেপে ধরুন। আসল পিওর সিল্ক শাড়ির কোঁচকানো ভাব চলে যাবে তাড়াতাড়ি। সিন্থেটিক হলে ওই ভাঁজ ইস্ত্রি ছাড়া দূর করা অসম্ভব।
আসল পিওর সিল্ক কিনা তা আগুন জ্বালিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। পিওর সিল্ক পোড়ানোর সময় চুল পোড়ার গন্ধ পাবেন। সিন্থেটিক শাড়ি পোড়ানোর সময় প্লাস্টিকের গন্ধ পাওয়া যাবে। ছাইয়ের মধ্যেও তফাৎ রয়েছে।
জল দিয়েও নিমেষে পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব পিওর সিল্কটি আসল কিনা। শাড়ির এক কোণে দুফোঁটা জল দিন। আসল পিওর সিল্কের উপর জল বেশি দূর ছড়াবে না। শুষেও নেবে তাড়াতাড়ি। আর সিন্থেটিক শাড়ির উপর পড়া জল ছড়াবে বেশি। শুকতেও সময় লাগবে বেশিক্ষণ।
শাড়ির ঔজ্জ্বল্য প্রমাণ দেবে তা পিওর সিল্ক নাকি সিন্থেটিক। পিওর সিল্ক উজ্জ্বল রংয়ের হলেও তা চকচক করবে কম। সিন্থেটিক শাড়ির ঔজ্জ্বল্য তুলনামূলক অনেক বেশি হবে।
