সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যুগের বউমারা আদতেই রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী। রাতে ল্যাপটপে মুখ গুজে অফিসের কাজ সারা থেকে ছুটির দিনের বিকেলে শাশুড়ির সঙ্গে ভোগের বাজার সারা, স্বামী-সন্তানের জামাকাপড় ইস্ত্রি করা, সবেতেই পটিয়সী। ফ্যাশন সচেতনও বটে! কোন পার্টিতে কী পরবেন? বাড়ির পুজোয় কোন শাড়ি-ব্লাউজ চলবে? সব দিকেই নজর থাকে তাঁদের। দুর্গাপুজো সবে গিয়েছে। এবার মা লক্ষ্মীকে বরণ করার পালা। বাঙালির বারো মাসে যেমন তেরো পার্বণ রয়েছে, ঠিক তেমনই সেই তেরো পার্বণের সঙ্গে ফ্যাশনের রকমফেরও রয়েছে। অনেকেই দুর্গাপুজোর সময়ে লক্ষ্মীবরণের শাড়ি কিনে রাখেন। কিন্তু পাটভাঙা শাড়ি না থাকলেও কুছ পরোয়া নেহি! লক্ষ্মীপুজোয় 'লক্ষ্মীমন্ত সাজে'র টিপস নিন কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের থেকে।
পুজোআর্চার দিনে বাড়ির লক্ষ্মীদের কাজও কম থাকে না। কোমর বেঁধে হেঁশেলে ভোগ রান্নার থেকে, জোগাড়জারি, অতিথি আপ্যায়ণ সবেতেই নজরদারি চালাতে হয়। অনেক ঝক্কি! কিন্তু লক্ষ্মীপুজোয় শাড়ি ছাড়া আবার সাজ হয় নাকি? অতএব, হালকা শাড়ি পরাটাই বুদ্ধিমানের। ঠিক যেমনটা কৌশানী বেছে নিয়েছেন টিস্যু ম্যাটেরিয়ালের শাড়ি। যেমন হালকা, তেমন পরেও আরাম। ছোটাছুটি করতে কোনও অসুবিধে হবে না। তাছাড়া লক্ষ্মীপুজো মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে লালপেড়ে সাদা শাড়ি, কিংবা লাল, হলুদ-ঘিয়ে রঙা শাড়িতে সেজে বাড়ির মেয়ে-বউমাদের আলপনা দেওয়ার দৃশ্য। এবার না হয়, 'রূপে লক্ষ্মী' হয়ে উঠতে একটু অন্যরকম রং বাছুন। ঠিক যেমনটা কৌশানী ইট রঙা টিস্যু শাড়ি বেছে নিয়েছেন, তেমন। কিংবা গাঢ় সোনালি রঙের শাড়িও পরতে পারেন।
এবার আসা যাক ব্লাউজের কথায়। কৌশানীর মতো ডিপকাট স্কোয়ার নেক ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন কিংবা সোনালি জরির কাজ করা জমকালো ব্লাউজও দিব্যি মানিয়ে যাবে। তবে শাড়ির পারে ভারী কাজ থাকলে ব্লাউজে খুব একটা কারুকাজ না হলেও চলবে। যেহেতু বাড়িতেই থাকছেন, তাই হালকা মেকআপ। একটু ব্লাশ। ঠোঁটে থাকুক কৌশানীর মতো লিপগ্লস। তবে আপনি স্বচ্ছন্দ্য না হলে লাল লিপস্টিকও ব্যবহার করতে পারেন। কপালে থাকুক ছোট্ট টিপ। তার সঙ্গে কানে থাকুক ঝুমকো কিংবা কান টানা। হাতে বালাজোড়া। তবে কানে ভারী গয়না পরলে নেকলেস পরার দরকার নেই। কৌশানীর মতো ছিমছাম সাজেই লক্ষ্মীপুজোয় মোহময়ী হয়ে উঠুন।
