সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতেছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত। চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগর জমজমাট। বাংলার অন্যান্য জায়গায় মূলত নবমীতে জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠেন প্রায় সকলে। আপনিও কি প্যান্ডেল হপিংয়ের পরিকল্পনা করেছেন? পুজো বলে ঠিক করেছেন শাড়ি পরবেন? কিন্তু কোন ধরনের শাড়ি পরবেন বা কেমন সাজবেন বুঝতে পারছেন না? তবে আপনার জন্য রইল টিপস।
পুজো মানেই সাদা-লাল পাড় শাড়ির কথা সবার প্রথম মাথায় আসে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় আপনিও এই ধরনের শাড়ি পরতে পারেন। সিল্ক হোক কিংবা সুতির শাড়ি পরতে পারেন। তার সঙ্গে সোনার গয়না পরলে সাজ জমে যাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সাবেকি সাজ চাইলে জামদানিও পরতে পারেন। বেছে নিতে পারেন মসলিন। সোনার গয়নার সঙ্গে এই দুই শাড়িই জমবে বেশ।
নবমীর সন্ধ্যায় একটু জমকালো সাজতে চাইলে রয়েছে হাজারও শাড়ি। প্রথমেই আসা যাক বেনারসির কথায়। বর্তমানে সরু পাড়ের বেনারসি ট্রেন্ডিং। চাইলে স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে বেনারসি পরতে পারেন। তার ফলে কানে বড় দুল পরুন। চাইলে খোঁপা করে মাথায় ফুল দিতে পারেন।
জগদ্ধাত্রী পুজোর সন্ধ্যার জন্য কাঞ্জিভরমও মন্দ নয়। যেকোনও রঙের শাড়ি বেছে পরে নিন। তার সঙ্গে মানানসই গয়না পরলেই চলবে। সকলের মধ্যমণি হয়ে উঠবেন সহজেই।
শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, এমন যেকোনও মহিলাই বালুচরি পছন্দ করেন। বাঁকুড়ার এই ঐতিহ্যবাহী শাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সন্ধ্যাও জমে যাবে। হালকা রঙের শাড়ির সঙ্গে একটু ঊজ্জ্বল ব্লাউজ পরুন। আর শাড়ির রং খুব ঊজ্জ্বল হলে হালকা রঙের ব্লাউজ পরুন।
খুব ভারী শাড়ি কি আপনা পরতে পছন্দ করেন না। হালকা শাড়ি চাইলে শিফন পরুন। সঙ্গে পরুন স্লিভলেস ব্লাউজ। খুব বেশি ভারী গয়নাগাটি যেন পরবেন না। তাতে সাজ মাটি হতে বাধ্য।
শাড়ি পরে সাজগোজের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন ব্লাউজ এবং গয়নাগাটি মানানসই হয়। নইলে সাজই মাটি।
