গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে (WhatsApp) অশ্লীল ছবি পাঠানোর ঘটনার প্রতিবাদে শামিল পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না মেলায় থানায় অভিযোগ দায়ের করল তারা। অভিযুক্ত দীপঙ্কর পাত্রের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে পডুয়ারা।
করোনার (Coronavirus) কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অনলাইন ক্লাস। তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে তৈরি হয়েছে বহু গ্রুপ। উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের ছোট সেহারা হাইস্কুলের পড়ুয়াদের সুবিধার্থেও তৈরি হয়েছিল একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। অনেক পড়ুয়ার নিজেদের নম্বর থাকলেও কারও আবার অভিভাবককদের নম্বর ছিল স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। সেরকমই এক পড়ুয়া তার বাবা দীপঙ্কর পাত্রের নম্বর স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করেছিল। অভিযোগ, সেই নম্বর থেকে স্কুলের গ্রুপে একের পর এক পাঠানো হয় নগ্ন ছবি। ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন অন্যান্য অভিভাবকরা।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের ‘শাস্তি’, রাতের অন্ধকারে বন্দুকের বাঁট দিয়ে যুবককে মার দুষ্কৃতীদের]
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাবি করেছিলেন তাঁর ফোনটি হারিয়ে গিয়েছে। এবং কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে তা জানা নেই তাঁর। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অন্যান্য অভিভাবকরা। তাঁরা দাবি করেন, ওই পড়ুয়ার বাবা আগেও এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি।
এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এবার পথে পড়ুয়ারা। অশ্লীল ছবি পাঠানোর প্রতিবাদে সোমবার প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। কেন এতদিন পেরিয়ে গেলেও স্কুলের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পড়ুয়ারা। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করে তারা। তাদের দাবি, অভিযুক্ত দীপঙ্কর পাত্রকে শাস্তি দিতে হবে।