অর্ণব আইচ: ই-সিম দেওয়ার নামে সিমকার্ড নিষ্ক্রিয় করে ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় এক মহিলা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৮৪ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। হদিশ মিলেছে ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের, যেগুলিতে লেনদেন হয়েছে জালিয়াতির টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাহুল রায়চৌধুরী ও সোমা দাস। এই জালিয়াতি চক্রে আরও কয়েকজন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি শিবরাম অরোরা নামে সল্টলেকের এক ব্যবসায়ী এই বিষয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, গত ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ক্রমাগত একটি মোবাইল সংস্থার নাম করে ‘ব্লাস্ট সার্ভিস’এ মেসেজ পাঠিয়ে ই সিমকার্ড নিতে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি কার্যত বাধ্য হয়ে জালিয়াতদের মেসেজে সাড়া দেন। এর পরই ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে তাঁর সিমকার্ড হ্যাক করা হয়। কিছুক্ষণের জন্য তাঁর মোবাইলের সিমকার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যেই তাঁর মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় জালিয়াতরা।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পূরণের নামে টাকা দাবি, অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরলেন Goutam Deb]
অভিযোগ, সেই সময়ই শিবরামবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতরা তুলে নেয় ৮৪ লক্ষ টাকা। মোবাইলে নতুন ই সিমকার্ড চালু হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে, হেয়ার স্ট্রিট এলাকায় তাঁর বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে তিনশো টাকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেন।
কলকাতা থেকেই প্রথমে রাহুল রায়চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে হদিশ মেলে সোমা দাসের। জালিয়াতির টাকার সন্ধান শুরু করতেই কলকাতার বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মেলে। এর মধ্যে কোনওটিতে রয়েছে কুড়ি লক্ষ, আবার কোনওটিতে চার বা পাঁচ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার দু’জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এই জালিয়াতি চক্রের বাকি সদস্যদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।