সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩১ তম দেশ হিসাবে ন্যাটোর সদস্যপদ পেল ফিনল্যান্ড। মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান প্রক্রিয়া শেষ হবে। সোমবার ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ ঘোষণা করেন, ফিনল্যান্ড ও নর্ডিক অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ন্যাটোর সদস্য হিসাবে যুক্ত হতে চলেছে ফিনল্যান্ড (Finland)। তবে একই সঙ্গে আবেদন করলেও এখনও সুইডেন এই সদস্যপদ পায়নি।
ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সময় থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল ফিনল্যান্ড। রাশিয়া ও আমেরিকা-দুই মহাশক্তির সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল উত্তর ইউরোপের দেশটির। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ হামলার পরেই পালটে যায় পরিস্থিতি। দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ন্যাটোয় (NATO) যোগদানের আবেদন করে ফিনল্যান্ড। প্রতিবেশী দেশ সুইডেনও একই আবেদন করে।
[আরও পড়ুন: অশান্ত রিষড়ায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল]
গোড়া থেকেই দুই দেশের সদস্যপদ নিয়ে আপত্তি ছিল তুরস্কের। প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি জানিয়েছিল, ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্য হিসাবে তারা মেনে নেবে না। কারণ, তুরস্কের অন্দরে কুর্দিশদের সমর্থন করার অভিযোগ তোলা হয় উত্তর ইউরোপের দুই দেশের বিরুদ্ধে। কুর্দিশদের জঙ্গি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছে তুরস্কের সরকার। পরে অবশ্য আলোচনায় বসেন তিন দেশের প্রতিনিধিরা। নিজেদের অমত প্রত্যাহার করে তুরস্ক।
আবেদন করার বছরখানেকের মধ্যেই ন্যাটোর সদস্যপদ পেয়ে গেল ফিনল্যান্ড। সোমবার ন্যাটোর তরফে বলা হয়, “মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমবার ন্যাটোর দপ্তরে ফিনল্যান্ডের পতাকা উত্তোলন করা হবে। নর্ডিক এলাকা, ফিনল্যান্ড ও ন্যাটোর সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।” ফিনল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তো বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো যেভাবে বিরোধিতা করেছে, সেটাই ফিনল্যান্ডের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” অন্যদিকে রাশিয়ার তরফে বলা হয়েছে, নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদের জবাব দেবে তারা।