সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে মায়ানমার। কয়েক সেকেন্ডের 'প্রকৃতির রোষে' মৃত্যু হয়েছে ২৭০০ জনের। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবু রাখে হরি মারে কে! ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর ধসে পড়া এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক যুবককে! এই ঘটনায় আশার আলো দেখছে মায়ানমার প্রশাসন।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে সেদেশটিতে রক্ষা পায়নি বসত বাড়ি থেকে শপিংমল, এমনকী বিলাসবহুল হোটেল। রাজধানী নেপিদোর শহরের এই হোটেলটিও ভেঙে পড়ে। পাঁচ দিন ধরে চলা উদ্ধারকাজে কেবল নিথর দেহই উদ্ধার করেছিল জরুরি পরিষেবা কর্মীরা। কিন্তু বুধবার চমকে দেওয়া কাণ্ড ঘটল। ২৬ বছর বয়সি ওই যুবককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করল মায়ানমার ও তুরস্কের যৌথ উদ্ধারকারী দল। হিসাব মতো ১২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন ওই যুবক। কঠিন অভিযান চালিয়ে কোনও মতে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে তাঁকে টেনে বার করা হয়। আহত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। সে দেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ভারত, বাংলাদেশেও প্রভাব পড়ে এই ভূমিকম্পের। মায়ানমারের পাশাপাশি ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় থাইল্যান্ডও। সেখানেও ভেঙে পড়ে একের পর এক বহুতল, ব্রিজ। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ফের কম্পন অনুভূত হয়। সেই ‘আফটারশকে’র মাত্রা ছিল ৬.৭। এরপরও চলতে থাকে লাগাতার আফটারশক।
ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স মায়ানমারকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, ভূপৃষ্ঠের নিচে ইউরেশীয় প্লেটের সঙ্গে ভারতীয় প্লেটের সংঘর্ষ যেহেতু অব্যাহত রয়েছে, তাই আগামী কয়েক মাস ধরেই ‘আফটারশক’ চলতে থাকবে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ইরাবতী নদীর গতিপথ বদলে গিয়েছে। মায়ানমারকে ১৫ টন ত্রাণ পাঠিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।