কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: বাগবাজারের হাজারি বস্তিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের মতো দুঃসহ স্মৃতি এখনও টাটকা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও এক অগ্নিকাণ্ডের (Fire) সাক্ষী রইল কলকাতা। যদিও তা এতটা ভয়াবহ আকার নেয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা নিউটাউনের (New Town) শুলংগুড়িতে আগুনের জেরে পুড়ে গেল চারটি বাড়ি। হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং দমকল কর্মীরা একযোগে কাজ করায় এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ আগুন লাগে নিউটাউনের শুলংগুড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাশের একটি জলাশয় থেকে জল নিয়ে তাঁরাই প্রাথামিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তাই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়নি। খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, একটি বাড়িতে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। তবে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় পাাশের তিনটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উত্তম মণ্ডল, বিশ্বনাথ ঘোষ, বিধান মণ্ডল এবং তাপসী ঢালি নামে চারজনের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এক বৃদ্ধা ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন।
[আরও পড়ুন: ‘গায়ের জোরে ভোট হবে না, BJP মানুষকে ইভিএম অবধি পৌঁছে দেবে’, হুঁশিয়ারি শোভনের]
গত নভেম্বরে শুলংগুড়ির অদূরে গৌরাঙ্গনগরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল শ’খানেক ঘর। দখল হয়ে যাওয়া রাস্তায় দমকলের গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি বলে আগুন ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। এদিন শুলংগুড়ির অগ্নিকাণ্ডও একই রকম ভয়ংকর হতে পারত। তবে স্থানীয়দের এবং দমকলের তৎপরতায় আগুন বিধ্বংসী হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।”
দেখুন ভিডিও: