সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী থাকল কলকাতা। নবান্ন অভিযানে গিয়ে জখম হয়েছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে বুধবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মেয়র। ফিরহাদের মাধ্যমে জখম কাউন্সিলরের জন্য শুভেচ্ছেবার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রীও।
কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তাঁর মাথা ফাটে। সঙ্গে সঙ্গে মাথায় গেরুয়া কাপড় চেপে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে বলে খবর। আজ অর্থাৎ বুধবার তাঁর সিটি স্ক্যান হওয়ার কথা। তার আগেই এদিন দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছে যান কলকাতার মেয়র।
[আরও পড়ুন; পুলিশের জলকামানের সামনে কর্মীরা, লালবাজারে বসে ‘খোশগল্প’, চা-পান শুভেন্দুদের, বাড়ছে ক্ষোভ]
মীনাদেবীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর কুশল সংবাদ নেন ফিরহাদ। চিকিৎসার বিষয়েও খোঁজখবর নেন তিনি। পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ জানান,”ওঁর সঙ্গে পুরসভায় রয়েছি দীর্ঘদিন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সৌজন্য আলাদা বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীও ওঁর জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।” মেয়র আরও বলেন, ” কীভাবে আঘাত লেগেছে, কী ঘটেছে, সে বিষয় এখন কথা বলার সময় নয়। ওঁর সুস্থতা কামনা করছি। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই।”
মেয়র বেরিয়ে আসার পর হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, জ্যোর্তিময় শিকদাররা। মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। কোথায় আঘাত লেগেছে, তাও দেখেন সুকান্তরা। ওই হাসপাতালে আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এরপর রওনা দেন মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশ্যে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত একাধিক কর্মী। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, “নবান্ন অভিযানে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। সংখ্যাটা বাড়ছে। পুলিশের মারে এক কর্মীর আঙুল বাদ দিতে হতে পারে।”