কৃষ্ণকুমার দাস: শ্মশানে দাহ করাতে যাওয়া মৃতের পরিজনের কাছে থেকে বেআইনিভাবে টাকা নিয়ে ধরা পড়ে বরখাস্ত হলেন ৫ পুরকর্মী। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন পুরসভার শববাহী গাড়ির চালক ও সহায়ক এবং একজন বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী ও অন্যজন কেওড়াতলা শ্মশানের কর্মী।
করোনায় (Coronavirus) মৃতের দেহ দাহ ও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস ধরে অভিযোগ আসছিল। কোভিডের দেহ দাহের আগেই ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। অনেকে সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করলেও পুর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করছিলেন না। অবশেষে গত চারদিনে তিনটি অভিযোগ আসতেই কার্যত হাতেনাতে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল পুরসভা। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও বিধায়ক অতীন ঘোষ (Atin Ghosh) বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, “সিরিটি ও কেওড়াতলা দুই শ্মশানেই অভিযুক্তদের শাস্তির পাশাপাশি টাকা উদ্ধার করে মৃতের পরিজনকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তাকর্মী টাকা নিতে গিয়েই হাতে নাতে ধরা পড়েছে।”
[আরও পড়ুন: হিন্দুদের বোকা বানিয়ে সিঁদুর পরে ভোট নিয়েছেন! নুসরত প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দিলীপ]
তপসিয়ায় পুরসভার মর্গের কাছে ডেথ সার্টিফিকেট (Death Certificate) পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ধরা পড়া ব্যক্তি হলেন একজন নিরাপত্তাকর্মী। শম্ভু মণ্ডল নামে ওই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া শাস্তি পাওয়া পুরসভার শববাহী গাড়ির চালক ও সহায়করা হলেন সমীর হালদার, সঞ্জয় রজক এবং বিশ্বজিৎ মণ্ডল। কেওড়াতলা শ্মশানে দাহ করতে যাওয়া পরিজনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন আনন্দ মল্লিক। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যপ্রশাসক তদন্তে পাঠিয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন এবং টাকা উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছেন মৃতের পরিজনকে। এদিন অতীন বলেন, “প্রতিটি শ্মশানেই বোর্ডে আমার মোবাইল নম্বর লাগানো আছে, কেউ বেআইনি অর্থ চাইলেই ফোন করুন। অভিযোগ জানাতে হবে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।” লাগাতার করোনার দেহ দাহ করার জেরে বিকল হয়ে গিয়েছে বিরজু নালা শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। তাই আগামী ১৪ ও ১৫, দু’দিন ওই শ্মশান বন্ধ থাকবে। তবে ধাপা, নিমতলা ও অন্যান্য শ্মশানে কোভিডের দেহ দাহ হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যপ্রশাসক।